আফগানিস্তানের উপর থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর আর পর থেকেই কার্যত ওই প্রদেশ সম্পূর্ণভাবে জঙ্গী অধ্যুষিত হয়ে গিয়েছে। আফগানিস্তানের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকাতেই নাকি এই মুহূর্তে তালিবানরা নিজেদের ঘাঁটি গেড়েছে। তবে কাবুলের প্রশাসন অবশ্য জানাচ্ছে, আফগানিস্তানের সেনারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যতদূর সম্ভব এলাকা পুনরুদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে। ফলে সেখানে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আফগানিস্তানের জঙ্গি দখল অব্যাহত রাখতে নাকি সাহায্য করছে পাকিস্তান! জঙ্গিদের সাহায্য করার জন্য পাকিস্তান থেকে প্রায় দশ হাজার সেনা পাঠানো হয়েছে। বিশিষ্ট সূত্রে খবর, পাক গোয়েন্দা সংস্থা ISI নির্দেশ দিয়েছে যে সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় বসতি ও পরিকাঠামোগুলিকে আগে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। ২০ বছর ধরে গড়ে তোলা ভারতীয় সম্পত্তি গুলিকে টার্গেট করা হয়েছে।
তালিবান ও পাক সেনাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে বিগত কুড়ি বছরে ভারত আফগানিস্থানে যে পরিমাণ সম্পত্তি গড়ে তুলেছে, তা ধ্বংস করে ফেলতে হবে। ২০০১ সালে আফগানিস্তান থেকে তালিবানদের সরিয়ে দেওয়ার পর ভারত আফগানিস্তানে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে। সেই সম্পদ আপাতত তালিবানদের নিশানায় রয়েছে। এরমধ্যে ডেলারাম থেকে জারাঞ্জ যাওয়ার ২১৮ কিমি রাস্তাও রয়েছে ভারতের অবদান।
ভারত-আফগানিস্তান মৈত্রী বাঁধ এবং ২০১৫ সালে উদ্বোধন হওয়া আফগানিস্তানের সংসদ ভবন, এইসবই বানিয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক সীমান্তে থাকা শহর ও সেনাঘাঁটি তালিবানদের কবলে চলে এসেছে। পাক-আফগান বর্ডার পোস্টের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সীমান্তের বর্ডার পোস্টও রয়েছে তালিবানদের নিশানায়। ইরান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানের সীমান্তের সামরিক ঘাঁটিতেও আধিপত্য বিস্তার করেছে তালিবানরা।