গত বছরের তুলনায় এই বছর ভারতে করদাতার পরিমাণ নাকি অনেকটাই বেড়েছে। অথচ পরিসংখ্যান বলছে ভারতে কর না দেওয়া জনগণের সংখ্যা মাত্র ৮.২৭ কোটি। অর্থাৎ ১৩২ কোটির দেশে সিকিভাগ মানুষ কর প্রদান করেন। কিন্তু কেন এই বৈষম্যতা! চলতি বছর নভেম্বর মাস পর্যন্ত স্রেফ প্রত্যক্ষ কর আদায় এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮.১১ লাখ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে তেমনি একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের পরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে ভারতে সিংহভাগ মানুষ কর দান করেন না। লেখা ভাল কর ফাঁকি দেন।
কিন্তু এত সচেতনতার পরেও ভারতের সামগ্রিক পরিস্থিতি কেন এত খারাপ? দেশের মোট জনসংখ্যার নিরিখে কর দেন মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ। অর্থনৈতিক হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতে। অথচ এই উন্নয়নশীল দেশে করদাতার পরিমাণ এতই কম। বিশ্বের উন্নত দেশগুলির কাছে ভারতের অবস্থান নগণ্য। ভারতের প্রভূত উন্নতি সাধন হলেও কেবলমাত্র মানুষের অবিবেচনার জন্যই পিছিয়ে রয়েছে ভারত।
আয়কর দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী মার্কিন গুলোকে জনসংখ্যা হলেও ৩৩.২৪ কোটি। তার মধ্যে মাত্র পনেরো কোটি মানুষ কর দেন। যার শতকরা হিসাব করলে দাঁড়ায় ৪৫%। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আমেরিকার পরিষেবা ভালো হওয়ার পিছনে সেখানকার মানুষের নিরন্তর প্রচেষ্টা কাজ করে।
আরো খবর: বি’য়ে’বাড়িতে খাবারের জায়গায় তু’মু’ল মা’র’পি’ট দুপক্ষের, বি’য়ে বা’দ দিয়ে দাঁ’ড়ি’য়ে দেখছে বর
আয়কর দপ্তরের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, দেশের কর দানের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য তার একমাত্র কারণ হলো দেশের মানুষের অর্থের বৈষম্যতা। অর্থাৎ দেশের সব মানুষ সমান অর্থ উপার্জন করেন না। তবে কিছু কিছু মানুষের মানসিকতারও পরিবর্তন দরকার। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকজানিয়েছে গত অর্থ বর্ষের তুলনায় এবছর কর আদায়ের পরিমাণ ২৪.২৬ শতাংশ বেশি।
শুধুমাত্র একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নয় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যেকোনো রকম জটিলতা এড়াতে নির্দিষ্ট সময়ে অনুযায়ী কর দেওয়া বাধ্যতামূলক।