সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

OMG: এই গ্রামের পুরুষদের বয়স ৫০ পার হলেই অ’ন্ধ হ’য়ে যান! কিন্তু কারণ কি?

অবারিত মাঠ গগন ললাট, চুমে তব পদধূলি, ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়, ছোট ছোট গ্রামগুলি। - গ্রামের সৌন্দর্যের বর্ণনা বলতে রবি ঠাকুরের লেখা 'দুই বিঘা জমি' কবিতার এই লাইন গুলোর কথা খুব মনে পড়ে। তবে এত অবাক করা গ্রামের সৌন্দর্য থেকেই বা কি হবে যদি না সেই সৌন্দর্যকে উপভোগই করতে পারে সেখানকার গ্রামবাসীরা। ভাবছেন হঠাৎ এসব কি বলছি! তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আসল ঘটনা কি?

অবারিত মাঠ গগন ললাট, চুমে তব পদধূলি, ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়, ছোট ছোট গ্রামগুলি। – গ্রামের সৌন্দর্যের বর্ণনা বলতে রবি ঠাকুরের লেখা ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার এই লাইন গুলোর কথা খুব মনে পড়ে। তবে এত অবাক করা গ্রামের সৌন্দর্য থেকেই বা কি হবে যদি না সেই সৌন্দর্যকে উপভোগই করতে পারে সেখানকার গ্রামবাসীরা। ভাবছেন হঠাৎ এসব কি বলছি! তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আসল ঘটনা কি?

লাতিন আমেরিকার পেরু ফুটবলের জন্যই গোটা বিশ্বে পরিচিত। সেখানকারই ছোট্ট এক পাহাড়ি গ্রাম প্যারান। গ্রামে মাত্র ৩৬০ জন মানুষের বাস৷ যাদের আবার ৭৫ শতাংশই অন্ধ। এখানকার পঞ্চাশ বা তার বেশি বয়সি ৬০ জন পুরুষই নাকি অন্ধত্বের শিকার ৷ আজ প্যারান লোকের কাছে পরিচিত ‘অন্ধদের গ্রাম’ বা ‘দৃষ্টিহীনদের গ্রাম’ হিসেবে। কিন্তু বেছে বেছে শুধু এই গ্রামের প্রৌঢ় পুরুষরা অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন কীভাবে?

এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, প্রায় ৩ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রাম প্যারানের বেশির ভাগ মানুষই চোখের একটি জিনগত রোগে আক্রান্ত। জন্মগত সেই রোগের নাম “রেটিনাইটিস” ৷ যার ফলে একটা সময় চোখের “টানেল ভিশন” নষ্ট হয়ে যায় ৷ আর তার ফলেই জীবনের মাঝপথে হুট করে নেমে আসে অন্ধকার!

আরো পড়ুন: ছেড়া-ফাটা কাপড় পরে রাস্তায় বে’র হতেই উ’ল্টে পড়লেন উরফি জাভেদ, ক্যামেরা বন্দি হতেই ভাইরাল ভিডিও

জানা গিয়েছে, বহুকালে আগে সাতটি পরিবার মিলে তৈরী হয় এই গ্রামটি ৷ আর তাঁরাই এই অন্ধত্বের রোগকে নিয়ে আসে। তখনকার দিনে ডাক্তার দেখিয়ে রোগ সারানোর কথা ভাবাই যেত না দুর্গম প্যারানে৷ তখন না ছিল কোনো রাস্তা, না ছিল আশেপাশে কোনো চিকিৎসক। সম্প্রতি মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে গ্রাম সংযোগকারী নতুন রাস্তা হয়েছে ৷

সোনা, রুপোর খনির খোঁজে একটি খনন সংস্থা সেখানে হাজির হলে ওই সংস্থার দৌলতেই গ্রামের বাসিন্দারা প্রথম চিকিৎসার সুযোগ পান। গ্রামের অন্ধ পুরুষদের চোখ পরীক্ষা করে ওই খনন সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই রোগ আসলে জন্মগত। এক্স ক্রোমোজোমের সমস্যাই রোগের কারণ।

আরো পড়ুন: বাবা হচ্ছেন গুরমিত, প’র্দা’র রাম-সীতার ঘরে আ’স’ছে নতুন সদস্য, সকলেই জা’না’চ্ছে’ন শুভেচ্ছা

চিকিৎসকরা জানান, যে মায়েদের এক্স ক্রোমোজোমের সমস্যা রয়েছে তাঁদের গর্ভে পুত্র সন্তান জন্ম নিলে তারাই ভবিষ্যতে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। তাহলে কি পঞ্চাশ পেরোলেই অন্ধ! প্যারানের গ্রামবাসীদের এটাই নিয়তি।