ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নালন্দা জেলার মানপুর থানার অন্তর্গত পারোহা গ্রামে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই রাজ্যেরই মন্ত্রীর নামও নীতিশ কুমার। আর যে ব্যাক্তির সাথে ঘটনাটি ঘটেছে তাঁরও একই নাম। ধানুকি গ্রামের বাসিন্দা নীতিশ কুমার যিনি হেনস্থার শিকার হয়েছেন। তিনি গত ১১ ই নভেম্বর সরবাহরি গ্রামে নিজের শালীকার বাড়িতে গিয়েছিলেন ছট পুজোর প্রসাদ দিতে,আর সেখান থেকে ফেরার পথেই ঘটে এ বিপত্তি।
পারোহী গ্রামের লোকজন তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যায় তাঁকে। সেখান থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে, যদিও প্রথমে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার কারন বুঝতে পারেননি নীতিশ, কিন্তু যখন তাকে উপস্থিত করা হয় বিয়ের মন্ডপের তখন তাঁর আর বুঝতে বাকি থাকে না। কিন্তু তখন আর কোন উপায় নেই, তাঁকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। তিনি আপত্তি জানালেও তাকে উল্টে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা, এমনকি সারারাত তাঁকে আটক করে রাখে।
ये दृश्य @NitishKumar के गृह ज़िले नालंदा का हैं जहां जबरन “ पकरुआ “ शादी करायी जा रही हैं @ndtvindia @Anurag_Dwary pic.twitter.com/siaI1BWJ91
— manish (@manishndtv) November 20, 2021
তবে কোনরকমে সেখান থেকে প্রাণে পালিয়ে বাঁচেন নীতিশ এবং তিনি পুলিশ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ইতিমধ্যেই জোর করে বিয়ে দেওয়া ভিডিওটিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মানপুর থানার এসএইচও জিতেন্দ্র কুমার জানান যে, তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশ। গোটা বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খুঁটিয়ে দেখা হবে কে বা কারা এর সাথে যুক্ত এবং কিভাবে এবং কেন এই ঘটনাটি ঘটনা হলো। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আরোই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ অধিকর্তারা।
