সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

OMG: মহারাষ্ট্রের গ্রামে প্যা’কে’ট পর প্যা’কে’ট বি’লি করা হচ্ছে ক’ন’ড’ম! কারণ জা’ন’লে অ’বা’ক হতেই হবে

মহারাষ্ট্রের পুনেতে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ জিকা ভাইরাস। করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর জিকা ভাইরাস। জুলাই মাসে পুনের বেলসার গ্রামের এক মহিলার শরীরে প্রথম পাওয়া যায় এই ভাইরাস। ওই মহিলার শরীরে জিকা ভাইরাস ছাড়া বাসা বেঁধেছিল চিকনগুনিয়া। তিনি যদিও পুরোপুরি এখন সুস্থ এবং তার শরীরে জিকা ভাইরাসের কোনো রকম উপসর্গ নেই। কিন্তু তবুও পুনের ওই গ্রামেই বাড়তি সর্তকতা নিতে শুরু করেছেন প্রশাসন।

আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে যদি কেউ গর্ভবতী হয় তাহলে হতে পারে সমূহ বিপদ তাই ওই গ্রামের বিলি করা হচ্ছে কনডম। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে গর্ভনিরোধক বিষয়ক বস্তু। এই ভাবেই ভয়ঙ্কর রোগ প্রতিরোধের রাস্তা খুঁজে নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির এর আয়োজন করা হয়েছে এবং এই ভাইরাস রোধ করার ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে ওই গ্রামে। আগামী কিছু মাসের মধ্যে যাতে ওই গ্রামে কোন মহিলা গর্ভবতী না হন, সেই উপদেশ দেওয়া হচ্ছে ভীষণ ভাবে। মহিলা যাতে প্রেগন্যান্ট না হোন, তার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং বিলি করা হচ্ছে কনডম।

বেলসর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ডক্টর ভরত সিন্তলে জানিয়েছেন, মশার কামড়ে ছড়ায় জিকা ভাইরাস। কোন পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে যদি সহবাস করেন তাহলে সঙ্গিনীর মধ্যে ছড়িয়ে যায় এই ভাইরাস। যে কোন পুরুষের শুক্রাণুর মধ্যে চার মাস জীবিত থাকতে পারে এই জিকা ভাইরাস। তাই আপাতত সঙ্গম এবং গর্ভবতী হতে মানা করা হচ্ছে প্রত্যেক মহিলাকে। জিকা ভাইরাসের উপসর্গ একেবারে ডেঙ্গুর মত। গায়ে হাতে পায়ে ছোট ছোট দানা দেখা যায় জিকা ভাইরাস হলে। একমাত্র উপায় সচেতনতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা। তাই এই গ্রামে অবলীলায় বিলি করা হচ্ছে কনডম।