সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

OMG: ৩ মাসের শিশু বি’ক্রি হলো ৭ বার, পুনরায় ফি’রে এ’লো মায়ের কোলেই

অন্ধ্রপ্রদেশে ও তেলেঙ্গানার বিভিন্ন স্থানে মাত্র তিন মাসের শিশুকন্যাকে সাত বার বিক্রি করার খবর প্রকাশ্যে আসতে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। সূত্রের খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার এক ব্যক্তির কাছ থেকে শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করে মায়ের হাতে তুলে দেন।

এই মামলার প্রসঙ্গে ডেপুটি পুলিশ সুপার মঙ্গলাগিরি জে রামবাবু বলেন, গণলাইহপেটের দিনমজুর মেদাবালিমি মনোজের তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছে। মদ্যপানে আসক্ত ওই ব্যক্তি তিন কন্যার ভরণপোষণ নিতে অক্ষম ছিলেন, তাই বাধ্য হয়ে তিনি তার সবচেয়ে ছোট বাচ্চাকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

তিনি তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার মেঘাওয়াথ গায়ত্রী নামে এক মহিলার কাছে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে নাগলক্ষ্মীর মাধ্যমে শিশুটিকে বিক্রি করেছিলেন। বিষয়টি জানতেন না শিশুটির দাদি।

আরো পড়ুন: শেষ পর্যন্ত রামপুরহাট কা’ন্ড নিয়ে মু’খ খুললেন অভিনেতা সাংসদ দেব

শিশুকন্যা কে খুঁজে পাওয়া না গেলে তিনি পুলিশের কাছে তার নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। শিশুটিকে খুঁজে বের করতে পুলিশ বিশেষ দল গঠনের মাধ্যমে তদন্ত শুরু করেন।

তদন্তে উঠে আসে নানা তথ্য। পুলিশ জানতে পারে গায়ত্রী ওই শিশুকন্যাটিকে নালগোন্ডা জেলার পালকেড গ্রামের লাম্বাডি দেবলা তান্ডার ভুকিয়া নন্দু নামে এক নারীর কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

শিশুটিকে ওই দামে কিনে ভুকিয়া নন্দু আবার হায়দরাবাদের দিলশুক নগরের এসকে নুরজাহানের কাছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। নুরজাহান শিশুটিকে হায়দ্রাবাদের নারায়ণগুড়ার চিক্কাদপল্লীর বোম্মাদা উম্মাদেবী নামে এক নারীর কাছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

বোম্মাদা উমাদেবী সেই শিশুটিকে বিজয়ওয়াড়া বেঞ্জ সার্কেলের পাদালা শ্রাবণীর কাছে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। পাদালা শ্রাবণী শিশুকন্যাটিকে গোল্লাপুডির গরিকামুক্কু বিজয়লক্ষ্মীর কাছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

আরো পড়ুন: তিন সন্তানকে নিয়ে ফে’র বি’য়ে’র পিঁড়িতে বসছেন এই জনপ্রিয় গা’য়ি’কা, জানুন তারিখ

সব শেষ শিশুকন্যাটিকে অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার এলুরুর ভারে রমেশের কাছে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।ডিএসপি রামবাবু বলেন প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে জানা গেছে, শিশু বিক্রির সঙ্গে যারা যারা জড়িত, তারা কেউই কোনো সংগঠিত শিশু পাচারচক্রের অংশ নয়।

শুধুমাত্র বেশি অর্থ উপার্জনের লোভে তারা এমনটা করেছিল। এই ঘটনায় মেয়েটির বাবাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।