সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ডিএলএড কোর্সে এখন আর ভ’র্তি’র আবেদন গ্রহণ হ’বে না, ধা’ক্কা খে’লো পর্ষদ

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বহুদিন ধরেই চলছে জল ঘোলা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জোট যেন পেঁয়াজের খোসার মতো। জট যেন কিছুতেই খুলছে না। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ব্যাপক পরিমাণে হয়েছে বলে দাবি কলকাতা হাইকোর্টের। আর এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এবার বড়সড় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিক নিয়োগের যোগ্যতা মানের নিয়ামক অর্থাৎ ডি এল এড কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়া অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট।

প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় ২০২১-২৩ শিক্ষাবর্ষে ডি এল এড কোর্সে ভর্তির জন্য আর কোনরকম আবেদন গ্রহণ করা হবে না। ডি এল এড কোর্সে ভর্তির কোন আবেদন গ্রহণ করতে পারবে না রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এমন স্থগিতাদেশ জারি করা হলো।

জানা গিয়েছে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ডি এল এড কোর্স শুরু হয় তার শেষ হওয়ার ঊর্ধ্বসীমা ২০২৩ সালে। মূলত এনসিইটির গাইড লাইন অনুযায়ী এই কোর্সের জন্য ২০০ দিনের কর্ম দিবস প্রয়োজন। কিন্তু ২৮ ডিসেম্বর পর্ষদ এই শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য নতুন আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

আরো খবর: বাড়ির ছাদেই কোনো ঝ’ঞ্ঝা’ট ছাড়াই ক্যাপসিকাম চা’ষ করুন, ফলন হ’বে ১২ মাস!

সেই মতো জানুয়ারির একেবারে প্রথমবার থেকেই আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নেওয়া হবে শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে এই শিক্ষাবর্ষ শেষ হতে আর বাকি রয়েছে মাত্র কয়েকটা মাস এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কিভাবে নতুনদের ভর্তি নেওয়া হবে! এমনকি ডি এল এড ভর্তিতে শিক্ষাবর্ষে ফি নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়ে।

মামলাকারীরা জানিয়েছেন এই শিক্ষা বর্ষে ভর্তির জন্য সাধারণদের জন্য ৩০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য তার অর্ধেক অর্থাৎ ১৫০ টাকা করে ফি নেওয়া হয়। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষে ৩০০০ টাকা ফি নেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে চাপানোতোর।

পর্ষদ কিভাবে এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করলে তা নিয়ে নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আবারো বড়োসড়ো প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়তে পারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া এবং ডিএলএড এর ভর্তি প্রক্রিয়া।