যে কোনো চাইনিজ ডিসের অন্যতম প্রধান একটি উপকরণ হল ক্যাপসিকাম। চিলি চিকেন হোক বা চাউমিন যে কোনো আমিষ অথবা নিরামিষ খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেক সময়ই বাজারে সেরকম ভালো ক্যাপসিকাম পাওয়া যায় না। আবার এর দামও অন্যসব সবজির তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়। ক্যাপসিকামের ব্যবহারে যে কোনো তরকারির স্বাদ হয়ে ওঠে অতুলনীয়।
তাই রান্নার স্বাদ দ্বিগুণ বাড়াতে বাজারের অপেক্ষা কেনই বা করবেন! তার থেকে ভালো বাড়িতেই ক্যাপসিকাম গাছ বসিয়ে নিন।অনেকেরই গার্ডেনিং-এর শখ থাকে। ফুল হোক বা সবজি, অনেকেই ছাদে বা বাগানে টুকটাক চাষ করেন। সেভাবে খুব সহজ পদ্ধতিতে ক্যাপসিকামেরও চাষ করা যায়। মূলত ভাদ্র এবং মাঘ মাসে ক্যাপসিকামের চাষ বেশি হলেও সারা বছর এর ব্যবহার হয়।
তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে বাড়ির বাগানেই ভালোভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করা যায়। প্রথমেই বাজার থেকে ক্যাপসিকামের বীজ কিনে এনে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর বেলে মাটি বা দোঁয়াশ মাটি ভালো করে ঝুরঝুরে করে নিয়ে বীজগুলি পুঁতে দিতে হবে।
আরো খবর: গঙ্গাসাগর মে’লা’র দিনক্ষণ থেকে স্নানের সময়সূচি জে’নে নিন
এছাড়া ক্যাপসিকামের ভালো ফলনের জন্য বীজ পোঁতার আগে ওই মাটির সাথে গোবর সার মেশাতে পারেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বীজ থেকে চারা গাছ বেরোনোর দু থেকে চার মাসের মধ্যেই ভালো ফলন হতে শুরু করে।
অন্যদিকে ক্যাপসিকাম গাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে ক্যাপসিকামের ওজনে গাছ যাতে হেলে না পড়ে, তার জন্য একটি লাঠি দিয়ে গাছটিকে একটি সাপোর্ট দেওয়া জরুরি। ক্যাপসিকাম বড় হওয়ার পর গাছকে পোকামাকড়ের কবল থেকে বাঁচাতে গাছের পাতায় সাবান গুঁড়োর জল ব্যবহার করা যেতে পারে।