সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গঙ্গাসাগর মে’লা’র দিনক্ষণ থেকে স্নানের সময়সূচি জে’নে নিন

আগে বলা হত সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার কিন্তু এখন গঙ্গাসাগর যাত্রা অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। কুম্ভ মেলার পর দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু মেলা গঙ্গাসাগর মেলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত কপিলমুনির আশ্রমে প্রতিবছর মকর সংক্রান্তি তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় এই গঙ্গাসাগর মেলা। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে পূর্ণ স্নান করতে আসে। গঙ্গা নদী এবং বঙ্গোপসাগরের মিলন কেন্দ্রে এই গঙ্গাসাগর।

বাঙালি তো বটেই এমনকি বিহার উত্তরপ্রদেশ থেকে বহু পর্যটক আসেন গঙ্গাসাগরে। গঙ্গাসাগরে পূর্ণ স্থানকে কেন্দ্র করে হয় মেলা। কলকাতা শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে এই গঙ্গাসাগর। কথিত আছে কপিল মুনি গঙ্গাকে মর্ত্যে আনয়ন করেন। সাগর রাজা এবং তার পুত্রদের জীবন গঙ্গার বিসর্জনের কাহিনীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে গঙ্গাসাগরের মেলা উপাখ্যান। সেখানেই দ্বীপের উপর গড়ে উঠেছে কপিল মুনির আশ্রম।

চলতি মাসের ৮ই জানুয়ারি রবিবার থেকে শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা চলবে ১৭ই জানুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত। শনিবার সন্ধে ৬ টা ৫৩ মিনিট থেকে শুরু হবে স্নান যোগ। রবিবার সন্ধ্যে ৬ টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত থাকবে এই যোগ। পুরান মতে কপিলমুনির ক্রোধের কারণে সাগর রাজার ৬০ পুত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিলেন এবং তারা নরকে গিয়েছিলেন। সাগরের নাতি ভগিরথ স্বর্গ থেকে গঙ্গাকে নিয়ে এসে ওই ৬০ জনপুত্রের পাপ ধুয়ে ফেলেন। মহাভারতের বন পর্বে গঙ্গাসাগরের উল্লেখ রয়েছে।

আরো খবর: পরোটা-কে ইংরেজিতে কি বলে? খুদের ভিডিওতে আ’ছে উত্তর, দেখে নিন

একসময় এখানে কপিল মুনির আশ্রম থাকলেও তা বিলীন হয়ে গিয়েছে সাগরে এমনটাই দাবি স্থানীয় মানুষজনের। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীর্থ যাত্রীদের জন্য এবার ২২৫০ টি সরকারি বাসের সূচনা করেছেন। এছাড়া প্রাইভেট বাস বজরা জাহাজ লঞ্চ এবং জেটির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে অতিরিক্ত ট্রেন দেওয়া হয়েছে নামখানা এবং শিয়ালদায়। মেলা প্রাঙ্গণে জাতির কোন রকম সমস্যা না হয় তার জন্য মেগা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। জিপিএস ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। এছাড়া রয়েছে ১৮৫০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা। সিভিল ডিফেন্স এবং স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগ করা হয়েছে। ১০ হাজারের বেশি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।মেলার শেষ দিন পর্যন্ত থাকবে কড়া নিরাপত্তা।