গরু পাচার কান্ডে নাম জড়িয়েছে বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতারও করেছেন পুলিশ। এবার নজরে রয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মন্ডলের ওপর। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা প্রয়োজনে তাঁর সাথেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি প্রয়োজন পড়লে বাড়ি গিয়ে সুকন্যার সঙ্গে কথোপকথন করবেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে উঠে আসছে এমন দুটি সংস্থার নাম যেটির মালিকানা রয়েছে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের নামে। সেই সংস্থার নথিতে অংশীদার হিসেবে নাম রয়েছে অনুব্রত মন্ডলেরও।
এই সমস্ত বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। আসুন জানা যাক সেই সংস্থাগুলি সম্পর্কে কিছু তথ্য: এগ্রো কেমিক্যাল সংস্থা যার ২৫ শতাংশ অংশীদার রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের এবং বাকি ৭৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে সুকন্যা মন্ডলের নামে।
আরো পড়ুন: ডি’ভো’র্স ঠে’কা’তে আদালত চত্বরেই স্ত্রীকে হ’ত্যা করলেন স্বামী
তদন্তকারীদের তদন্তে উঠে আসছে একাধিক রাইস মিলেরও সন্ধান। যার মধ্যে রয়েছে ভোলেবোম সহ তিন থেকে চারটি রাইস মিল। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আধিকারিকরা এই তদন্তে প্রথম থেকে নেমেই সন্দেহ করেছিলেন গরু পাচারের টাকা খাটানো হচ্ছে কোন ব্যবসায়। এবার তাদের সন্দেহই সত্যি হল, জানা যাচ্ছে এক এক বছরে সম্পত্তি বেড়েছে চার থেকে ছয় কোটি টাকা।
শুনলে আরো চমকে যেতে হয় ২০১৭ সালে যখন অনুব্রত মন্ডলের স্ত্রী ও মেয়ে ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তখন সেই সংস্থার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৭২ হাজার টাকা, ঠিক ২০১৭ থেকে ২০২২ এই সময়টাতেই হঠাৎ করে শ্রীবৃদ্ধি ঘটে যায় যেটি নজরে পড়ার মতো।
তবে আপাতত সুকন্যাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো কিছু স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আধিকারিকরা এটুকু নিশ্চিত যে এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে সুকন্যা মন্ডলের যোগ রয়েছে, তাই আগামী দিনে কি হতে চলেছে তার দিকেই চোখ রাখতে হবে আমাদের সকলকে।