Home পড়াশোনা পরীক্ষা প’দ্ধ’তি নিয়েই প্রশ্ন উ’ঠে এ’লো, তিনটি স্কুলের ৪০ জনই মে’ধা তালিকায়

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পরীক্ষা প’দ্ধ’তি নিয়েই প্রশ্ন উ’ঠে এ’লো, তিনটি স্কুলের ৪০ জনই মে’ধা তালিকায়

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকা দেখলে চমকে উঠবেন যে কেউ। প্রথম থেকে দশম স্থানের মধ্যে 272 জনের নাম রয়েছে। একসঙ্গে এতজন পড়ুয়া কখনো এক থেকে দশের মধ্যে এর আগে থাকেননি। এর থেকে আরও অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলৈ মাত্র তিনটি স্কুল থেকেই মেধা তালিকায় 40 জন স্থান পেয়েছেন।

স্বভাবতই এতে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক নটেশ্বরী বিদ্যালয় থেকে প্রথম দশে 22 জনের স্থান রয়েছে। 497 পেয়ে এই স্কুল থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন সায়নদীপ সামন্ত নামের এক পড়ুয়া। এছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম স্থান দখল করেছেন মোট 21 জন।

দিনহাটার শনিদেবী জৈন হাই স্কুলের ছাত্রী অদিশা দেবসর্মা 498 পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছেন। স্কুলের আরো 9 জন পড়ুয়া মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম স্থানে রয়েছেন বাকি পড়ুয়ারা। এই দুটি স্কুল ছাড়াও সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার আদর্শ বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়ারা দারুন ফল করেছেন।

আরো পড়ুন: হাওড়ায় সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সং’যো’গ বি’চ্ছি’ন্ন থাকবে

বাড়ি থেকে কয়েক মাইল রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশোনা করেছেন ছাত্রীরা। এই স্কুল থেকে প্রথম দশে মোট আটজন জায়গা পেয়েছেন। এই বছর করোনা সংক্রমণের কারণে পড়ুয়ারা নিজেদের স্কুলে পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন।

এই পরীক্ষা পদ্ধতি অনেকেই সমর্থন করেননি। অন্যদিকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় সমাজের নিয়ম-নীতি মেনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু প্রত্যেকবারের মতো এই বছরে আশানুরূপ ফল পায়নি এই স্কুল।

করোনার কারণে এই বছরের স্কুলকেও হোম সেন্টারে পরীক্ষা নিতে হয়েছে। যে স্কুলগুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তার প্রধান শিক্ষকরা এক বাক্যে বলেছেন এই করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য স্কুলের মত হোম সেন্টারে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন তারা। ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়তি কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি।