সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নেই খাবার ও জল! তে’ষ্টা মে’টা’তে ইউক্রেনে আ’ট’কে পরা বাঙালি পান করছেন নোং’রা জল

একেই হয়তো বলে বেঁচে থাকার লড়াই, এ সত্যি নকর যন্ত্রণা বা তার থেকেও বেশী কিছু। ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার সংঘাত নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। আর সেই অবস্হার মধ্যেই ইউক্রেনের মানুষ দারুন অসুবিধার মধ্যে। বিশেষ করে যারা ভারতের স্টুডেন্ট ইউক্রেনে নিজেদের মেডিক্যাল বিষয়ক পড়াশোনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল।

তারা এখন একেবারেই সেখানে আটকে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এভাকুয়েশনের কাজ চলছে, কিন্তু যতক্ষণ না এই কাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই মরণ যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে তাদের। সামান্য খাওয়ার জল নেই সেখানে, তাই বাধ্য হয়ে শৌচালয়ের জল খেয়ে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়ারা।

ইতিমধ্যেই খারকিভে একজন ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, যার কারণে ভারতে এখন সত্যি চিন্তার ছায়া নেমে এসেছে। ইউক্রেনে পড়তে আসা পড়ুয়াদের জীবন একেবারে থেমে গেছে। কারণ তাদের জীবন হোস্টেল, কিংবা কলেজে আর কাটছে না । তাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে বাঙ্কারে।

আরো পড়ুন: আলিপুরদুয়ারের মেয়ে আ’ট’কে রয়েছেন ইউক্রেনে, চি’ন্তা’য় পরিবারের লোকজন

সত্যি যুদ্ধের ফলে মানুষের যে কি ধরনের পরিণাম হতে পারে, তার এবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে পরিস্হিতি। সব কিছুকে উপেক্ষা করে এখন চলছে বেঁচে থাকার লড়াই, যুদ্ধের ধুলো গায়ে মেখে কোনোক্রমে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু রাশিয়ার মিসাইল কি আর রঙ রূপ দেখে হামলা করবে সে কেবলমাত্র লাল রক্তকে চেনে।

সেই রক্তের পরিবর্তেই এই লড়াই। ভারতীয় ছাত্র রূপম মন্ডল জানিয়েছিল বাঙ্কারে দিন কাটছে ,মৃত্যু কখন এসে সামনে দাঁড়াবে তা সত্যি বলা মুশকিল। ঝাড়গ্রামের রূপম মন্ডল, সারাদিন বাঙ্কারে কাটাচ্ছে, ইতিমধ্যেই খাবার শেষ হয়ে গেছে। জল শেষ হয়ে গেছে। খাবারের সন্ধানে বাইরে বের হব? কিন্তু বাইরের পরিস্হিতি একেবারেই খারাপ।

পানীয় জল শেষ হয়েছে অনেকদিন। শৌচাগারের জল খেয়ে প্রাণে বেঁচে আছে তারা। মৃত্যুর ভয় এখন তারা পায় না। কারণ বর্তমান অবস্থা তাদের শক্ত করে দিয়েছে। সেই বাঙ্কারে বসেই হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে কথা বার্তা হচ্ছে বন্ধুদের সাথে। তারা যুদ্ধের বিভিন্ন ছবি শেয়ার করছে গ্রুপগুলোতে।

এর মধ্যেই এক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু তাদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু যেকোনো ভাবেই তারা ইউক্রেন ছাড়তে চাইছে। অন্য দেশের সীমান্ত ছুঁতে চাইছে তারা। কিন্তু ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের দৌলতে অনেক মানুষ দেশে ফিরে আসছে, তাই এখন তারাও রয়েছে সেই অপেক্ষায়।।