আচার্য চাণক্য তার নীতির জন্য পরিচিত, তিনি বিষ্ণুগুপ্ত, কৌটিল্য ইত্যাদি নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি অত্যন্ত গুণী পণ্ডিত ছিলেন। শিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ অর্থনীতিবিদও ছিলেন। নিজস্ব দক্ষতাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য চাণক্য সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন।
চাণক্য তার দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য অনেক নীতি তৈরি করেছিলেন। তাঁর রাজনীতি, দর্শন, জীবন সবই যেন রহস্যে মোড়া।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা ‘অর্থশাস্ত্র’ আর ‘নীতিশাস্ত্র’ নিয়ে আজও আলোচনা চলে। কারণ এই শাস্ত্রের রাজধর্ম ও রাজনীতি সংক্রান্ত বার্তাগুলির প্রাসঙ্গিকতা আজও বহাল।
আরো পড়ুন: মেয়ের বাড়ির একজন রসগোল্লার রস ফে’লে দিয়েছিলেন, লাথি মে’রে বি’য়ে ছে’ড়ে বেরিয়ে গেলেন বর
চাণক্য প্রণীত সেই সমস্ত নীতির সংগ্রহ চাণক্য নীতি শাস্ত্রে রয়েছে। আজ আমরা আপনাদেরকে এমন কিছু নীতি সম্বন্ধে বলতে যাচ্ছি, যা মানুষের চিন্তাভাবনার পরিবর্তনের পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনকেও উন্নত করে তোলে। এছাড়াও, আজ আমরা জানব কার সঙ্গে শত্রুতা না করার পরামর্শ দিয়েছেন চাণক্য।
যদি একজন ব্যক্তি নিজেকে বিশ্বাস না করে, নিজের শরীরের প্রতি যত্ন না নিয়ে, খাওয়া-দাওয়ার প্রতি মনোযোগ না দিয়ে সর্বদা নিজের ভাগ্যকে অভিশাপ দেয়, তবে সে ব্যক্তি কখনোই ভালো নয়।
একজন মানুষ কোনো যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে গর্ভ থেকে জল বের করতে পারে। একইভাবে, একজন ছাত্র যদি তার গুরুর সেবা করে, তাহলে সে গুরুর জ্ঞানের সম্পদ অর্জন করে।
হাজার গরুর মধ্যে যেমন একটি গাভীর বাছুর তার মাকে অনুসরণ করে, তেমনি কর্ম একজন মানুষকে অনুসরণ করে।
যে বাড়িতে ব্রাহ্মণদের পা ধোয়া হয় না, যেখানে উচ্চস্বরে বৈদিক স্তোত্র পাঠ করা হয় না এবং যেখানে ভগবান ও পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য দেওয়া হয় না, সেই বাড়িটি শ্মশানের মতোই শূণ্য।
আরো পড়ুন: হিন্দিভাষীরা ফুচকা বেঁচে, হিন্দিকে অ’প’মা’ন করে বি’ত’র্ক উ’স্কে দিলেন তামিল মন্ত্রী
চাণক্য বলেছিলেন যে নিজের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ব্যক্তির সাথে শত্রুতা করা উচিত নয়। কারণ এতে শুধু অর্থই নষ্ট হয় না, আমাদের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এই কারণেই চাণক্য পরামর্শ দেন যে একজনকে আরও শক্তিশালী ব্যক্তির সাথে সাবধান হওয়া উচিত।
চাণক্য তার নীতিতে বলেছেন যে ভয় থেকে কখনোই পালিয়ে যাওয়া উচিত নয় কারণ এটি যে কোনও কাজের সাফল্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
আচার্য চাণক্য তার নীতির জোরে মৌর্য রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে তিনি তার নীতি বইয়ের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন।
অনেক সময় মানুষ তার ভালো মন্দ বুঝতে পারে না। কিন্তু আমাদের ধর্মে এমন কিছু শাস্ত্র আছে, যা দেখে আমরা জীবনে যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি। আচার্য চাণক্য এই জ্ঞান আমাদের সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
