সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ন্যাকামি দেখতে দেখতে অ’তি’ষ্ঠ, বারবার শ্রীময়ীকে অ’প’মা’ন হতে দেখে বি’র’ক্ত নেটিজেনরা

বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম অঙ্গ হল সিরিয়াল। তাই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথেই সমস্ত কাজ সেরে টিভির রিমোট নিয়ে সবাই মিলে বসে পড়েন টিভির সামনে। পছন্দের তারকাদের টিভির পর্দায় না দেখা পর্যন্ত দর্শকদের কাছে গোটা দিনটাই যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। স্টার জলসায় অনুষ্ঠিত ‘শ্রীময়ী’ খুবই জনপ্রিয় একটি মেগা সিরিয়াল। সকলেই এই সিরিয়ালটি বেশ পছন্দ করেন। এই সিরিয়ালের লেখিকা হলেন লীনা গাঙ্গুলী। শ্রীময়ী চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে ইন্দ্রাণী হালদারকে।

মধ্যবয়সী আর পাঁচজন সাধারণ মহিলাদের মতোই শুরু হয়েছিল শ্রীময়ীর জীবন। সংসারকে ঘিরেই যাবতীয় সুখ খুঁজে পেতেন। এত করেও পরিবারের কারোর কাছ থেকে ভালোবাসা পেতেন না, একমাত্র ছোট ছেলে ছাড়া পরিবারের বাকি সমস্ত সদস্যই উঠতে বসতে অপমান করতেন তাঁকে। কিন্তু এত সবকিছু সত্ত্বেও অসাধারণ এক ব্যাক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন শ্রীময়ী। তাই স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি কখনও। আর এও একাধিকবার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে স্বপ্ন পূরণের পথে বয়স কোনো বাধা হতে পারে না। তাঁর একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নজর কেড়েছে সকলের। অনেক গৃহবধূ তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

শুধু তাই নয়, সব স্বপ্ন পূরণ করে কিছুদিন আগেই সমাজের প্রচলিত ধ্যান ধারণার সমস্ত বেড়াজাল টপকে রোহিত সেনকে বিয়ে করেছে শ্রীময়ী। শ্রীময়ী সিরিয়ালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রোহিত সেন, অভিনয় করছেন টোটা রায়চৌধুরী। সিরিয়ালের অন্যতম আকর্ষণ জুন আন্টি। শ্রীময়ীর জীবনকে বরাবরই বিষিয়ে তুলতে দেখা গেছে তাঁর প্রাক্তন স্বামী অনিন্দ্য সেনগুপ্তের বর্তমান স্ত্রী জুন আন্টি। তবে সব পরিস্থিততেই শ্রীময়ীর পাশে দাঁড়িয়েছেন রোহিত সেন।

তবে মাঝেমধ্যেই সিরিয়ালের সব আজগুবি গল্পের কারণে ট্রোলিং হতে হয়। সম্প্রতি চ্যানেলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে একটি প্রোমো শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বর্তমান স্বামী রোহিত সেনকে নিয়ে শ্রীময়ী কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এসেছে তার আগের শ্বশুর বাড়িতে। এই প্রোমো দেখে নেটিজেনদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে জল্পনা।

প্রোমো দেখে বোঝা যাচ্ছে ওই বাড়িতে কেউ মারা গিয়েছেন। কিন্তু আদতে কার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কখনও মনে হচ্ছে সিরিয়ালে মৃত্যু হয়েছে অনিন্দ্যর বাবার। আবার কখনও মনে হচ্ছে অনিন্দ্য নিজেই মারা গিয়েছেন। আর এই প্রোমোকে নিয়ে ব্যাপক ট্রোলিং শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারও মতে, ‘হয়তো অনিন্দ্যর বাবা মারা গেছে। কিন্তু পত্রলেখার শাখা সিঁদূর কেন পরা সেটাই বুঝলাম না!! হয়তো এখনো খোলা হয় নি!!’ এছাড়া একজন আবার মজা করে লিখেছেন, “ন্যাকাময়ীর নতুন মোড়!”