সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হাড় কাঁ’পা’নো ঠাণ্ডাতেও বি’না পোশাকেই থাকেন নাগা সাধুরা! কিন্তু কেন?

গত ৮ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। এই গঙ্গাসাগর মেলায় দূরদূরান্ত থেকে বহু সাধু সন্ন্যাসীরা উপস্থিত হন পূর্ণ লাভের আশায়। প্রধানত প্রচন্ড শীতে এই গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সিদ্ধি লাভের আশায় উপস্থিত হন নাগা সাধু সন্ন্যাসীরা। এই নাগা সাধু সন্ন্যাসীরা ন”’গ্ন অবস্থায় থাকেন। যখন হাড় কাপানো শীতে মানুষের জবুথবু অবস্থা সেই সময় লাখ লাখ ন”’গ্ন সাধুরা সমুদ্র তটে বসে থাকেন।

সেই প্রাচীনকাল থেকে সাধু মনীষীদের পোশাক পরিচ্ছদ সাধারণ মানুষের থেকে ভিন্ন। তারা ভোগ বাদে বিশ্বাস করে না। মূলত লাল হলুদ বা গেরুয়া রঙের পোশাক পরতে দেখা যায় তাদের। প্রচন্ড ঠান্ডায় ন”’গ্ন হয়ে থাকেন গঙ্গাসাগরে আসা সাধুরা। গায়ে ছাই মুড়িয়ে তারা ঘুরে বেড়ান সর্বত্র। নাগা মানে ন”’গ্ন। তারা নিজেদের ঈশ্বরের দূত বলে মনে করেন।

তাদের মাথায় থাকে বড় জটা হাতে ত্রিশূল এবং তলোয়ার। কেন তারা ন”’গ্ন হয়ে থাকেন তা অনেকেই জানেন না। নাগা সাধুরা প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক অবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তারা মনে করেন মানুষের জন্ম যেমন খালি গায়ে তেমন সেভাবেই থাকা উচিত সারা জীবন। মানুষের জন্মের অনুভূতিকে সম্বল করে তারা ঘুরে বেড়ান ন”’গ্নদেহে।

আরো খবর: আদালতে মা’ম’লা ল’ড়া’ই করবে রোবট আইনজীবী, মানুষের হয়ে করবে সওয়াল-জবাব

কোনরকম আরম্ভর পুরনো জিনিস তারা পছন্দ করেন না। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় মানুষ যেখানে যায় সেখানেই দাঁতকপাটি লেগে যায়। অথচ শীত গ্রীষ্ম বর্ষা প্রতি ঋতুতেই ন”’গ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ান নাগা সন্ন্যাসীরা নাগা সাধুরা তিন ধরনের যোগ ব্যায়াম করে। তাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয় খাবার এবং তাদের মানসিক চিন্তার মধ্যেও রয়েছে সংযম।

কথায় বলে শরীর যেমন মহাশয় যা সওয়াবে তাই সয়। শরীরকে কঠিনভাবে গড়ে তুলেছেন নাগা সন্ন্যাসীরা। এই সাধু হওয়ার জন্য অনেক সময় লাগে কম করে ১২ বছর। এই সময়কালে তারা ধর্মের নানান নিগূঢ় তথ্য অনুসন্ধান করেন। তাদের কোন নির্দিষ্ট জায়গা বা ঘর নেই হিমালয়ের একটি কুম্ভে অবস্থান করেন তারা।

প্রথমে ব্রহ্মচর্য তারপর মহাপুরুষ দীক্ষা নিয়ে থাকেন তারা। ৭ টি বাড়ি থেকে ভিক্ষা চেয়ে তারা খেতে পারেন। ভিক্ষা না পেলে তাদের অভুক্ত থাকতে হয়। এভাবেই যুগের পর যুগ কঠোর তপস্যা আর সংগ্রাম করে এগিয়ে চলেছেন নাগা সন্ন্যাসীরা।