অভিনয় জগতে একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা যেন আরো বেশি করে স্তম্ভিত করে দিচ্ছে সকলকে। বুধবার সন্ধ্যায় দমদমের নাগেরবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় মডেল তথা অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ। মাত্র 21 বছর বয়সে কেন এমন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হলো তাকে তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে সকলের মনে।
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, বিদিশার ঝুলন্ত দেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি সুইসাইড নোট যেখানে অভিনেত্রী বারবার উল্লেখ করেছেন তার পেশাগত জীবনের চাপের কথা। কিন্তু দিয়া দাস নামে একটি মেয়ে বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু যিনি কিনা দাবি করে জানিয়েছেন, এই আত্মহত্যার পেছনে রয়েছে অভিনেত্রীর প্রেমিক অনুভবে সঙ্গে সম্পর্ক চলাকালীন অশান্তি।
মৃত বিদিশার প্রেমিকের নাম অনুভব বেরা। পেশায় তিনি শরীরচর্চার প্রশিক্ষক। প্রশিক্ষক এবং অভিনেত্রীর মধ্যে গত পাঁচ মাস ধরে একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন বিদিশার বান্ধবী দিয়া। দিয়া জানিয়েছেন, বিদিশা সঙ্গে রোজ কথা হতো তার। এমনকি মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত দুজনের হোয়াটসঅ্যাপে ভালো মতো কথা হয়েছে।
আরো পড়ুন: “অতি লোভে তাঁতী নষ্ট”, ATM-এ ডাকাতি করতে এসে ১৯ লক্ষ টা’কা পোড়ালো ডাকাতদল
দিয়া সেই কথোপকথন সকলকে দেখিয়েছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে বিদিশা লিখেছেন, প্রেমিক অনুভবকে তিনি ভীষণ ভালোবাসেন তাকে ছাড়া একেবারে বাঁচবেন না। এদিকে দিয়া দাবি করেছে, অনুভবে একাধিক অন্য সম্পর্ক ছিল এবং সে কথা জানার পর থেকে বিদিশা ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিল।
ইতিমধ্যেই অনুভব এবং দিয়ার আরেকটি কথোপকথনে অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে সংবাদমাধ্যমের সামনে যেখানে অনুভবকে চেপে ধরতে শোনা যায় দিয়াকে। ভিডিও ক্লিপে শোনা যাচ্ছে অনুভব বারবার দাবি করছে বিদিশার সঙ্গে তিনি সম্পর্কে কখনো ছিলেন না। বিদিশাকে কোনদিন আই লাভ ইউ পর্যন্ত বলেননি তিনি।
এদিকে দিয়া পাল্টা প্রশ্ন করে, যদি রিলেশনের না থাকো তাহলে কি করে ফিজিক্যাল হতে পেরে ছিলে? কিভাবে অন্তরঙ্গ হতে পেরেছিলেন বিদিশার সঙ্গে? উত্তরে অনুভব বলে ওঠেন, ভালোবাসি এই কথাটা কোন দিন বলেননি কিন্তু তার সঙ্গে সেক্স করার কোনো সম্পর্ক। যদি এত কিছুর পর প্রমাণ হয় যে তিনি দোষ করেছেন তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়া হোক।
তদন্ত কোন দিকে এগোবে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না তবে সুইসাইড নোট যে লিখেছে বিদিশা সেখানে তিনি মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেনি। তবে বিদিশার বাড়ির তরফ থেকে অনুভব এর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এখনো এসে পৌঁছায়নি পুলিশের কাছে।
