সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আমার মেয়ে দাদুর বাড়ি দেখতে পা’র’বে না, দুঃখ করে বললেন টলিউডের কাশ্মীরি পন্ডিত ভরত কল

বহুদিন বাদে আরো একটি ভালো সিনেমা আমরা দেখতে পেলাম যার নাম, দ্যা কাশ্মীর ফাইলস। কাশ্মীরে কীভাবে হিন্দু পণ্ডিতদের অত্যাচার করা হতো তা দেখানো হয়েছে সিনেমার মাধ্যমে। কিন্তু এই সিনেমা দেখার পর কিছু মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে দর্শকদের কাছ থেকে।

কেউ কেউ বলছেন, এ সিনেমার মাধ্যমে দেশবাসীর ধর্মীয় ভাবাবেগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন পরিচালক। আবার কেউ কেউ বলছেন এই সিনেমার ফলে আরো একবার হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি হয়ে যেতে পারে।

আবার দেশের বড় একটি অংশ জনগণের দাবি অনুযায়ী, পরিচালক রীতিমতো পড়াশোনা করে সৎ উপায়ে এই সিনেমা তৈরি করেছেন। সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক তুলে ধরেছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর অত্যাচারের সমস্ত কাহিনী।

আরো পড়ুন: জো’রা’লো ভূমিকম্পের পর একের পর এক আফটার শক, লাইনচ্যু’ত বুলেট ট্রেন

যে কাহিনী আজ আমাদের সকলের কাছে ছিল অজানা তার প্রত্যেকটি সত্ত্বেও তিনি সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। এই কাহিনী দেখে কেউ চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।

সিনেমা মুক্তির সময় একাধিকবার ফোনে খুনের হুমকি পেয়েছিলেন পরিচালক কিন্তু তা সত্বেও তিনি পিছিয়ে আসেননি। ফলস্বরূপ আজ গোটা বিশ্ববাসী দেখেছে কিভাবে নিরীহ শান্তিপ্রিয় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা করেছিল মুসলমানরা। তবে সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রি অন্যতম অভিনেতা তথা টলিপাড়ার কাশ্মীরি পন্ডিত ভরত কল।

এই সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি নিজের মতামত জানিয়ে বলেছেন, একসময় তিনি এই অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছিলেন। এই সিনেমাকে আমাকে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। জন্ম কলকাতায় হলেও অভিনেতার বাবা কলকাতায় এসেছিলেন ৬৬ বছর বয়সে।

আরো পড়ুন: পশুর মতোই এখানে খাঁচাবন্দি হ’য়ে থাকেন মানুষজন, ভা’ড়া মাসে ২০ হাজার টা’কা

প্রত্যেক বছর তিনি আনাগোনা করতেন কাশ্মীরে। কিন্তু অভিনেতার এখন আফসোস যে তিনি কোন দিন বাড়ি যেতে পারবেন না। তার একমাত্র মেয়ে কোনদিন ঠাকুরদার বাড়ি দেখতে পাবে না। শুধুমাত্র ব্যবহার করতে পারবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পদবী অর্থাৎ কল।