সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

“এক পদ, এক পেনশন” নিয়ে ব’ড়ো সি’দ্ধা’ন্ত মোদি সরকারের, উপকৃত হবেন ২৫ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী

বছরের একেবারে শেষ সময় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মীদের জন্য এক দারুন খবর। সীমান্তের শেষ প্রান্তে থেকে যারা সর্বদা দেশের রক্ষার জন্য অতন্দ্র প্রহরীর মতন কাজ করেন তাদের জন্য সবসময় ভালো খবর নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার এক পদ এক পেনশন নিয়ে বড় ঘোষণা করল কেন্দ্র। শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ থাকুন জানান সংশোধিত এক পদ এক পেনশন নীতিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট।

ফলে গোটা দেশের ২৫.১৩ লাখ পেনশনভোগী বিশেষভাবে লাভবান হবেন বলেই জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে শহীদ সেনা জওয়ানদের বিধবা স্ত্রী ও যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সেনা কর্মীরা এই পেনশনের আওতায় আসবেন। ২০২৩ সালের ১ লা জুলাই এই নতুন নীতি কার্যকর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিপুল পরিমাণ বকেয়া অর্থ পেতে চলেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মীরা। পেনশন বাবদ সরকারের খরচ হবে ৮৪৫০ কোটি অতিরিক্ত টাকা। সেনা কর্মীদের একত্রিশ শতাংশ ডি এ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতি ছয় মাস অন্তর চারটি কিস্তিতে এই বকেয়া অর্থ প্রদান করা হবে। তবে যারা বিশেষ পারিবারিক পেনশন ও সাহসিকতার জন্য যে বিশেষ পুরস্কার তা একবারেই দিয়ে দেওয়া হবে।

আরো খবর: একটু আ’ড়া’ল হলেই কি আপনার সন্তান মাটি খা’চ্ছে? কোনো রো’গে’র ল’ক্ষ’ণ নয় তো?

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মীরা প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে এক পদ এক পেনশন নীতির জন্য সওয়াল করে এসেছেন। এই নিয়ে বিস্তর তর্ক বিতর্ক চলেছে বেশ কয়েক বছর ধরে। কেন্দ্র সরকার আরো জানিয়েছে একই পদে এবং একই মেয়াদে পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের ২০১৮ সালের মধ্যে ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ পেনশনের গড় মান বের করে তার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে পেনশন।

শুধু তাই নয়, এই নতুন নীতির ফলে আগামী প্রজন্মের যুবক রাও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে যোগদান করবার ইচ্ছা প্রকাশ করবে। ২০১৯ সালের ৩০ শে জুন পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র কর্মীদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। তবে এই ভাবনা ২০১৫ সালেই বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছিল কেন্দ্র।

২০১৪ সালের জুলাই মাস থেকে কার্যকর করা হয়েছিল এই নীতি । কোন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল যদি ১৯৯০ সালে অবসর নেন এবং অন্য একজন যদি ২০১৪ সালে অবসর নেন তাহলে তারা দুজনেই সমপরিমাণ পেনশন পাবেন।