এবার তৃণমূলের দৃষ্টিতে রয়েছে মেঘালয় রাজ্যে। অনেকদিন থেকেই তারা চেষ্টা করছিল তাদের ঘাঁটি মজবুত করার। খবর সূত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যেই মেঘালয়ের ১১ জন বিধায়ক তৃণমূলে নতুন করে যোগদান করেছে। বর্তমানে মেঘালয় বিধানসভায় বিরোধীদল তৃণমূলই রয়েছে।
আগামী মাসের শুরুতেই মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার শাসক দল অংশ নেবে, এরই মধ্যে বুধবার মেঘালয়ের উত্তর গারো পাহাড়ে রাজনৈতিক সভার আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক জানিয়েছেন,” মেঘালয়ের বিশ্বাস জিততে হবে। মেঘালয় দিল্লি অথবা গুয়াহাটি সামনে কখনোই মাথা নিচু করে চলবে না। বাংলায় অনেক বিজেপির বড় বড় নেতা উপস্থিত হয়েছেন কিন্তু আমরা তাদের দেখিয়ে দিয়েছি যে তাদের জায়গাটা ঠিক কোথায়”।
অভিষেক জানিয়েছেন যে, মেঘালয় তৃণমূল কখনোই বহিরাগত নয়, তবে তৃণমূল জিতলে পরেও মেঘালয় কিন্তু বাংলা শাসন কখনই পড়বে না এখানকার আদিবাসীরাই শাসন করবে কারণ মুকুল সাংহা সহ বিধায়করা সকলেই এখানকার বাসিন্দা।
তিনি আরো বলেন যে, মেঘালয় এমন একটি জায়গা যেখানে কংগ্রেস বিজেপিকে এবং বিজেপি কংগ্রেসকে সাপোর্ট করে, কিন্তু তিনি মুকুল সংমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যে কংগ্রেস ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
অভিষেকের মতে, সূর্য যেমন পূর্বদিকে ওঠে তিনি গণতন্ত্র পূর্ব দিক থেকেই প্রতিষ্ঠা করা হবে। শুধুমাত্র ২০২৩ নয় সঙ্গে ২০২৪ এর লোকসভার জন্য মেঘালয়কে তৃণমূল কংগ্রেস নজরে রেখেছে। ইতিমধ্যেই দলের পক্ষ থেকে সদস্য সংগ্রহ করা চালু হয়ে গেছে।
তৃণমূলের খবর সুত্রে জানা গেছে সবার আগে অথবা পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চার্চে যাবেন। সেখানে তারা কথা বলবেন তৃণমূল চাইছে উত্তর গারো পাহাড়ের আদিবাসী মানুষ জাতিদের অভাব অভিযোগের কথাগুলো তুলে ধরতে।