দিনদিন পাকিস্তানের সংকট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। দেউলিয়া হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। দিনদিন পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরো সংকটজনক হয়ে উঠেছে। এক বস্তা আটা ও পেঁয়াজের জন্য মারপিট লেগে গিয়েছে পাকিস্তানে। খাদ্যশস্যের দাম আকাশ ছোঁয়া।
এরমধ্যে আবারো আশঙ্কার খবর জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাকিস্তানের সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ গত তিন মাসে সর্বনিম্ন হয়ে গিয়েছে। যেসব পাকিস্তানি নাগরিকরা বিদেশে কর্মরত রয়েছেন তারা খুব অল্প পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছেন দেশে।
ডিসেম্বরে এই অর্থ কমে দুই বিলিয়ন ডলার হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে অন্য দেশ থেকে পাঠানো অর্থ ২.৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে। গতবছরের তুলনায় এই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ শতাংশ।
আরো খবর: পান্না-কে কিভাবে ও কখন ধারণ করা দরকার?
বিদেশ থেকে পাকিস্তানে যে অর্থ এসেছে তার পরিমাণ ২.১০ বিলিয়ন ডলার। নভেম্বরে তুলনায় এই ঘাটতি ৩ শতাংশ বেশি। ২০২২ ২৩ অর্থ বর্ষে প্রথম ছয় মাসে বিদেশে কর্মরত নাগরিকরা দেশে ১৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন যা গত অর্থ বর্ষের তুলনায় বারো শতাংশ কম।
সৌদি আরবে কর্মরত পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি নাগরিক রয়েছেন তারা ডিসেম্বরে মোট ৫১৬ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরশহীতে যারা রয়েছেন তারা পাঠিয়েছেন ৩২৯ মিলিয়ন ডলার।
আবার পাকিস্তানের কিছু নাগরিক আমেরিকায় কর্মরত যারা পাঠিয়েছেন ২২০ মিলিয়ন ডলার। বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি দেখা দিয়েছে পাকিস্তানি বর্তমানে ভারত সহ অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে সাহায্য নিতেই হবে।