সম্প্রতি টলিপাড়ার বিশিষ্ট অভিনেত্রী পল্লবী দে র মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য, যাকে ঘিরে চলছে তদন্ত। তদন্ত চলাকালে একাধিক তথ্য উঠে আসছে গোটা ঘটনা জুড়ে। তদন্তে উঠে এসেছে সৌমি নামের একটি মেয়ের নাম যার সঙ্গে সাগ্নিকের কোন একসময় প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
২০১৪ সালে সৌমি আত্মহত্যা করে। অভিনেত্রী পল্লবী দে র মৃত্যুকে ঘিরে উঠে এসেছে সাগ্নিক এর ব্যাপারে একাধিক তথ্য। জানা গিয়েছে সাঁতরাগাছির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত সাগ্নিক এবং সৌমি, এই সময়ে তাদের মধ্যে তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক।
প্রেম চলাকালীন সৌমির সঙ্গে প্রত্যেকদিনই সাগ্নিক দেখা করতে বাড়িতে আসত তবে হঠাৎ করে জানা যায় সৌমির সঙ্গে সাগ্নিকের বিচ্ছেদের কথা, যার পরে ২০১৪ সালে আত্মহত্যা করে সৌমি।
আরো পড়ুন: কুকুর মায়ের স্নেহে ব’ড়ো হ’চ্ছে তিন বাঘ শাবক, ভাইরাল ভিডিও
পল্লবী দে র মৃত্যুর পরে সৌমির মা ইলা মন্ডল সাগ্নিকের সম্পর্কে একটি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, সৌমির সঙ্গে সাগ্নিকের সম্পর্কের বিচ্ছেদের কারণ হলো ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়।
ঐয়েন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পরে সৌমির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় সাগ্নিকের। ইলাদেবীর দাবি, তার মেয়ে যখন বাড়িতে একা ছিল সেই সময়ই আত্মহত্যা করেছিল, তাই সাগ্নিক তাঁর মেয়েকে খুন করেছে সেটাই তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস।
মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ করতে বাড়ির সৌমির বাবা অজয় মণ্ডল জগাছা থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেই সময় কোন প্রমানপত্র না থাকার জন্য সাগ্নিককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
তবে অবশেষে পল্লবীর মৃত্যুকে ঘিরে আবার পুরনো খাতা খুলে গেছে। ইলা দেবীর দাবি, যদি সেই সময় পুলিশ সাগ্নিককে গ্রেপ্তার করতো তাহলে হয়তো পল্লবী আজও বেঁচে থাকত। যদিও এই সমস্ত ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেনি ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়।