সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চো’র স’ন্দে’হে গণ’প্রহার, মাল’দহের হরিশ্চন্দ্র’পুরে মৃ’ত্যু পরি’যায়ী শ্রমিকে’র

চোর সন্দেহে গণপ্রহার, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের

মালদা , ১২ সেপ্টেম্বর : বাসিন্দাদের একাংশের গণপ্রহারে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। চোর সন্দেহে তাকে শেকল দিয়ে হাত পা বেঁধে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। হরিশ্চন্দ্রপুরের মালিওর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পিপুলতলা এলাকায় শুক্রবার রাতে ওই গণপ্রহারের ঘটনাটি ঘটে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাকে চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই শনিবার রাতে মৃত্যু হয় পরিযায়ী শ্রমিক ওই যুবকের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম প্রতাপ মণ্ডল (২৪)। তার বাড়ি মালিওর গ্রামে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতাপ মাস খানেক আগেই ভিন্ রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছিল। তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার পর গোটা এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। গোটা এলাকা কার্যত পুরুষশূণ্য। রবিবার মৃত যুবকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে পিপুলতলা এলাকায় চুরি করতে আসা এক যুবককে হাতেনাতে ধরা হয়েছে বলে এলাকায় চাউর হতেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও। তারপর দড়ি দিয়ে যুবকের দুই হাত বেঁধে ফেলা হয়। পা দুটোও লোহার শেকল দিয়ে বাঁধা হয়। তারপরই শুরু হয় গণপ্রহার। বাসিন্দাদের একাংশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন! কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি।

খবর পেয়ে বাড়ির লোকরাও ছুটে যান। মারধরের পাশাপাশি তার পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা পরদিন সকালে দিতে হবে বলে লিখিয়ে নেওয়া হয়। এরপর অচেতন অবস্থায় প্রতাপকে তুলে নিয়ে এসে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যদিও এভাবে আইন হাতে তুলে নিয়ে কাউকে বেঁধে পিটিয়ে খুনের ঘটনার নিন্দায় অনেকেই সরব হয়েছেন। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতাপ ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। মাস খানেক আগে বাড়িতে ফেরেন। কয়েকদিনের মধ্যেই ফের তার নাগপুরে ফেরার কথা ছিল।

এলাকারই এক পরিযায়ী শ্রমিক বিজয় মণ্ডল বলেন, ওর তো আমার সঙ্গেই নাগপুরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কি যে হয়ে গেল।প্রতাপের মা সনজু মণ্ডল বলেন, আমার ছেলে চোর নয়। ওরা ওকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। আমি চাই যারা ছেলেকে খুন করেছে তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।

হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যারা ওই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক পদক্ষেপ করা হবে।