সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

Marsquake: প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে কাঁ’প’লো মঙ্গলের হৃদপিন্ড, ধরা নাসার ইনসাউট ল্যান্ডারে

মঙ্গলে প্রাণের স্পন্দন আছে কি নেই, এই নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার অন্ত নেই। তবে সম্প্রতি নাসার পাঠানো রোভার ‘ইনসাইট’ মঙ্গলে প্রাণের স্পন্দন টের পেল। এক মাসের মধ্যে পরপর দুই দিন মঙ্গল গ্রহে প্রাণের স্পন্দন টের পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি নাসার। এই দুই দিনের মধ্যে তিনবার প্রাণের স্পন্দন শুনিয়েছে মঙ্গল। এক দিন টানা আধঘন্টা মঙ্গল গ্রহে প্রাণের স্পন্দন শোনা গিয়েছে। মঙ্গল গ্রহের অভ্যন্তরে যে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন আজও ঘটে চলেছে তা এর থেকে বেশ স্পষ্ট।

বৃহস্পতিবার নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৫ শে অগস্ট থেকে ১৮ই সেপ্টেম্বর, এই ২৫ দিনে মঙ্গলে হয়েছে তিন-তিনটি বড় মাপের কম্পন শোনা গিয়েছে। এই কম্পনকে নাসার পরিভাষায় বলা হয় ‘মার্সকোয়েক’ বা মঙ্গলের ‘ভূমিকম্প’। এই ২৫ দিনের মধ্যে মঙ্গলের বুকে প্রথম কম্পনটি শোনা গিয়েছিল গত ২৫শে অগস্ট। ৪.২ মাত্রার কম্পনে সেদিন কেঁপে উঠেছিল মঙ্গল।

এর কিছুদিনের মধ্যেই ইনসাইট-এর সিসমোমিটারে ধরা পড়ে আরো একটি কম্পন। যার মাত্রা ছিল ৪.১। ১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গল ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। উল্লেখ্য এর আগে নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার ২০১৯ সালে মঙ্গলের বুকে কম্পনের হদিশ পেয়েছিল। সেই সময় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৭। ২০১৯-এর কম্পনের যে পরিমাণ শক্তি ছিল, গত ২৫ অগস্টের কম্পনের শক্তি ছিল তার থেকে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।

নাসার ল্যান্ডার ইনসাইট-এর ৫৭৫ মাইল দূরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। কলকাতার ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স (আইসিএসপি)-এর অধিকর্তা জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী এতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। তার বক্তব্য মঙ্গল যে একেবারে নিষ্প্রাণ হয়ে যায়নি এই ঘটনা তার প্রমান। মঙ্গল গ্রহে অভ্যন্তরে আজও পাথর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরে যাচ্ছে। যার ফলে ঘটছে এই ঘটনা।