চন্দন কাঠ হল এমন একটি কাঠ, যার দেশে বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল কাঠের একটি। চন্দন চাষ সম্পর্কে শোনা যায় যে, একটি কৃষক যদি ১০০টি চন্দন গাছ তৈরি করতে সফল হন তবে তিনি সহজেই ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
একটি চন্দন গাছ পরিপক্ক হতে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগে। এরপর চন্দন গাছ কৃষকের আয়ের উৎস হয়ে ওঠে। চন্দন গাছ চাষের জন্য কিছু সরকারি নিয়মেরও ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হয়। সরকারের অনুমতি ছাড়া এই গাছ বিক্রি করা খুবই কঠিন। এমতাবস্থায় কেউ যখন চন্দন চাষ করার কথা ভাবে, তখন তাকে সরকারি নিয়ম মেনে চলতে হবে।
চন্দন গাছ থেকে দারুন আয় করা যায়। এটি দুটি উপায়ে প্রস্তুত করা যেতে পারে। প্রথমটি হল জৈব উপায়। তবে এই উপায়ে একটি চন্দন গাছ দাঁড় করাতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগে। অন্যটি ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতি। যেখানে গাছ তৈরি হতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর সময় লাগে।
বর্তমানে চন্দন চাষের অধিকাংশ ব্যবসায়ী জৈব পদ্ধতিই অবলম্বন করে থাকেন। তথ্য অনুযায়ী, একটি চন্দন গাছ থেকে বছরে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। এমতাবস্থায় একজন কৃষক যদি ১০০ টি গাছ লাগিয়ে তার পরিচর্যা শুরু করেন তাহলে চন্দনের কাঠ বিক্রি করে বছরে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
চন্দন গাছ তৈরি হওয়ার পরে, এটি মূল থেকে কাটা হয় না। বরং এর কাঠ কেটে ব্যবহার করা হয়। এরফলে গাছ একবার বড় হয়ে গেলে তা স্থায়ী রোজগারের রাস্তা হয়ে দাঁড়ায়।