সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মমতার ক’থা বাস্তবায়িত, চপশিল্পে অনুপ্রাণিত হয়ে চপ বিক্রি করেই সা’ফ’ল্য পেলেন MA পা’শ যুবক

পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের যুবক বিশ্বজিৎ কর মোদক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের কথাকে বাস্তবায়িত করে দেখালেন। পুরুলিয়ার এই যুবক চপ ভেজেই ফি দিন ৫০০ টাকা হাতে । ঠেলাগাড়ির দোকানের নাম ‘চপ শিল্প’। বিশ্বজিৎ কর মোদকের সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত তেলেভাজা ভেজে প্রতিদিন প্রায় দু’হাজার টাকার রোজগার হয়।কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল ‘এমএ ইংলিশ চায়েওয়ালি’র খবর। স্নাতকোত্তর হয়েও চা বিক্রি করে নজর কাড়েন হাবড়ার টুকটুকি দাস। পরে তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁকে সাহায্যের আশ্বাসও দেন। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের ভিলেজ রিসোর্স পার্সেন বিশ্বজিৎ কর মোদক এবার নজরে এলেন। জঙ্গলমহল বান্দোয়ান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই তিনি ভিলেজ রিসোর্স পার্সেন পদে পতঙ্গ বাহিত রোগ দমন করার জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ান। আর সেই ফাঁকে ‘চপ শিল্পে’র দোকান খুলে বাড়তি রোজগার করছেন বিশ্বজিৎ।

Purulia Youth

তিনি বান্দোয়ান ফরেস্ট অফিস মোড়ে এই ঠেলা গাড়ির দোকান দিয়েছেন। দুপুরটুকু বাদে সকাল-সন্ধ্যা তার ঠেলায় তেলেভাজা খেতে ভিড় জমছে ভালই। সেই সঙ্গে ব্যানারে যেভাবে বড় বড় করে লেখা ‘চপ শিল্প’ তাতেও যেন আলাদা চোখ টেনে নিয়েছে দোকানটি। মাত্র সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই তেলেভাজা ভেজে বান্দোয়ানের বাজার ধরে নিয়েছেন বিশ্বজিৎ। তবে এই অবস্থায় পৌঁছানোর জন্য তাকে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। স্নাতকোত্তর, টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বিশ্বজিৎ। ২০১৬ সাল থেকে ভিলেজ রিসোর্স পার্সেনের সাথে যুক্ত তিনি। তখন বছরে ১৩ দিনের এই কাজ করলে ৪৮০ টাকা পেতেন। ২০১৭ থেকে ২০১৮ র প্রায় শেষ পর্যন্ত এই কাজ বন্ধ ছিল। তারপর চলতি বছরের শেষের দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে হওয়া এই ভিলেজ রিসোর্স পার্সেনদের পতঙ্গ বাহিত রোগ দমনের কাজে যোগ দেন। প্রতিদিনের বেতন দেড়শো টাকা। ২০২০ সাল নাগাদ বেতন আরও ২৫ টাকা বেড়ে যায়।

বিশ্বজিৎ এখন প্রতিদিন ১৭৫ টাকার গড়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ভাতা পান। কিন্তু গত জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মাসিক ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুজোতে খুবই সমস্যায় পড়েন তিনি। সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে ঠোঙা বানিয়ে সারা দিনে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা রোজগার করতেন। সেই টাকাতেই কোনওভাবে সংসার চলত তাঁদের। এদিকে ভিলেজ রিসোর্স পার্সেনের ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসারে কোনও অর্থ দিতে পারেননি তিনি। যার জেরে পরিবার তাকে ত্যাজ্যপুত্র করে বলে অভিযোগ।ওই যুবক কিছুদিন আগে অবশ্য সেই চার মাসের বকেয়া ভাতা হাতে পান। এরপরই নিজের জমানো টাকা দিয়ে পুরানো ঠেলা গাড়ি কিনে সপ্তাহ দু’য়েক আগে ‘চপ শিল্পে’র দোকান খোলেন।