সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিশ্বের কঠিনতম মহিলা সিরিয়াল কি’লা’র! খু’ন করেছেন ৬৫০ টি

র’ক্ত’পি’পা’সু, ড্রা’কু’লা এই সমস্ত গল্প আমরা শুধুমাত্র বইয়ের পাতাতেই পড়ে এসেছি, অথবা টিভিতে কোন কাল্পনিক চরিত্র গুলিকে দেখেছি কিন্তু কখনো বাস্তব জীবনে এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন আমরা হয়তো কোনদিনো হয়নি বা হতে হয়নি বলা যায়। তবে বাস্তবে ও যে এই ধরনের কোন ঘটনা ঘ’ট’তে পারে সেটা কিন্তু আমাদের কারোরই জানা ছিল না এই প্রতিবেদনটি পড়ার পরে আপনারা বুঝতে পারবেন যে সত্যিই এই ধরনের মানুষ পৃথিবীতে ছিল।

শুধুমাত্র নিজের যৌ’ব’ন ধরে রাখতে দিনের-পর-দিন খুন করে গেছে অ’জ’স্র মানুষকে। শুধুমাত্র অজস্র মানুষকে খুন করে গেছে তা নয় তার সঙ্গে খুন করে তাদের রক্ত পান করেছে। ৬০০ বেশি মানুষ খুন করেছে সে। ইতিমধ্যেই ইতিহাসের সবথেকে ভ’য়’ঙ্ক’র হত্যাকারী বলে এক মহিলাকে গণ্য করা হয়েছে, যার নাম কাউন্টেস এলিজাবেথ বাথরি।

এই মহিলার জন্ম ১৫৬০ সালে. বিলাসবহুল জীবন যাত্রা করতেন তিনি, ওই মহিলার ডাকনাম কাউন্টেস ড্রাকুলা। জানা গেছে গরীব, কৃষক পরিবারের মেয়েদের সে অপহরণ করত এবং বন্দি করে নিঃ’সংশ ভাবে হ’ত্যা করে তাদের রক্ত পান করত।

একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে, কাউন্টেস বাথরি নি’শং’স ভাবে নির্যাতন করত শিকারিদের কখনো শিকারিদের নখের নিচে পিন ঢুকিয়ে দিত, কখনো আবার তাদের স্তন কামড়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিত, ঠান্ডায় জমিয়ে রেখে হত্যা করত।

আরো পড়ুন: পৃথিবীর গ’তি বে’ড়ে গিয়েছে, একদিন সম্পূর্ণ হ’তে লাগছেই না ২৪ ঘন্টা

আঙ্গুল অথবা যৌনাঙ্গ কেটে দিত শুধুমাত্র যে গরিব পরিবারের মেয়েদের সে অপহরণ করত তা কিন্তু নয় ধনী ভদ্রঘরের মেয়ে দের সে হত্যা করত। শিক্ষাদান করার নাম করে তাদের একটি দুর্গে ডেকে সেখানেই তাদের হত্যা করে রক্ত পান করত। জানা গেছে ৩০ বছর পার করার পরপরই তার একটা ভয় মনে শুরু হয়ে যায় বয়স বাড়ার, যার কারণে সে হত্যা শুরু করে।

কিন্তু এত হত্যা করা সত্বেও কেউ কাউন্টেসকে ধরতে পারেনি। কুড়ি বছর ধরে এক ভাবেই নিশংস হত্যা চালিয়েছে সে। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সেই সময়ে তদন্তের দায়িত্ব ছিল গয়রজি থুরজি নামের একজন ব্যক্তির ওপর। তিনি কয়েকজন সাক্ষীকে সংগ্রহ করেছিলেন এই সাক্ষীদের মধ্যে একজন সাক্ষী দাবি করে জানিয়েছিলেন যে, কাউন্টেসের একটি ডাইরিতে তার শিকারের সমস্ত কিছু বর্ণনা লিখে রাখত ডাইরি অনুযায়ী জানা যায় তাঁর শিকারের সংখ্যা ৬৫০।

জানা গেছে কারণ কাউন্টেসের চারজন বিশ্বস্থ চাকরকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল এবং অন্যদিকে কাউন্টেস ড্রাকুলাকে রাখা হয়েছিল তার প্রাসাদে বন্দী করে। অবশেষে ৫৪ বছর বয়সে মৃত্যু হয়,যার দেহ এখনো পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।