সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

স্বাস্থ্যসাথী কা’র্ড নিয়ে আ’হ’ত যু’ব’ক চিকিৎসা ক’রা’তে গিয়ে ফি’রে এ’লে’ন, কা’ঠ’গ’ড়া’য় হাসপাতাল

দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে আসানসোলের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন এক যুবক। সঙ্গে ছিল ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড। আহতের নাম অভিজিৎ সরকার। কিন্তু সেই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের সুবিধায় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হল না, উপরন্তু রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হল- এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে আসানসোলের কুলটির এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে রোগীর আত্মীয়দের বলা হয়, বেড নেই। কিন্তু প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ওই রোগী বাধ্য হন টাকা জমা দিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়ে চিকিৎসা করাতে।

উজ্জ্বল মজুমদার নামে ওই রোগীর এক আত্মীয় বলেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডে চিকিৎসা র ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা না পাওয়ায় শেষমেষ টাকা জোগাড় করে হাসপাতালে টাকা জমা দেওয়া হয়। তখন দ্রুত চিকিৎসার কাজ শুরু হয়ে যায়। মীনু বাউরি নামে এক মহিলারও অভিযোগ, তাঁর ছেলেকেও ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি। টাকাপয়সা জোগাড়ের পর ভরতি নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের কোনো গুরুত্ব নেই এমন অভিযোগ পেয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যান কুলটির তৃণমূল নেতৃত্ব।

দুর্ব্যবহার করা হয় রোগী পরিবার, তৃণমূল নেতৃত্ব ও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। কুলটি ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ”আমরা হাসপাতালে যেতেই লক্ষ্য করি, শুধু অভিজিৎ সরকার নন, অনেক রোগী একই সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে রয়েছেন। ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নিয়ে আসা রোগীরা চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের বিনিময়ে কেন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না?” ঠিকঠাক উত্তর না মেলায় ওই বেসরকারি হাসপাতালের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কুলটি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।

এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বক্তব্য বলেন, ”হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী মাঝির আশ্বাস, ”তদন্ত শুরু হয়েছে। হয়রানির শিকার হওয়া রোগীর পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ চেয়ে পাঠিয়েছি। সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছি। দু’পক্ষের কথা শোনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”