সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রাজধানীতে নেমেই খে’লা শু’রু করবেন মমতা, তৈরি মা’স্টা’র প্ল্যা’ন

একুশের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াই শেষ। সবুজ শিবিরের নজরে এখন শুধুই গেরুয়া অপসারণের লক্ষ্য রয়েছে। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে তৃণমূল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃতীয় বারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসে বাংলারমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত মোদি বিরোধী দলের মুখ হয়ে উঠেছেন। এখন থেকেই তাই চব্বিশের লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল।

আগামী ২৬শে জুলাই, সোমবার রাজধানী দিল্লি যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এবারের সফরে দিল্লিতে গিয়ে বিরোধীদের জোটবদ্ধ করার কাজটাই করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক শিবিরের অন্দরমহলে অন্তত তেমনটাই গুঞ্জন উঠেছে।

পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে এমনিতেই মোদি সরকারের নাভিশ্বাস উঠেছে। সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সমাজকর্মীদের ফোনে স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মসহায়কের ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পেগাসাস নিয়ে মোদির বিরোধিতায় মেতেছে তৃণমূল।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে সেবারে তার পরিকল্পনা সফল হয়নি। বরং সেবার বিজেপির সারাদেশে ব্যাপক গরিষ্ঠতা পেয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছিল। বাংলাতে বিজেপি জিতে নিয়েছিল ১৮টি আসন। এখন থেকেই আঁটঘাট বেঁধে লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। প্রশান্ত কিশোর এবং শরদ পাওয়াররা বারংবার বৈঠকে বসছেন। যার থেকে কার্যত তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।