দেশের অর্থনীতি যেভাবে তলানিতে চলে যাচ্ছে তাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন আশঙ্কার কথা জানান, বৃহস্পতিবার মূল্যবৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে একটি বৈঠক করেছিলেন নবান্নে এবং সেখানেই তিনি জানান যে, আগামী দিনের সরকারি কর্মচারীদের বেতনের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
এই বৈঠকে প্রশ্ন উঠেছিল যে, ভবিষ্যতে সরকারি চাকরিজীবী কর্মীদের বেতনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা? তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের সঠিকভাবে বেতন দিতে পারবেন কি না সে ব্যাপারে তিনি জানেন না।
যে ভাবে দিনের পর দিন কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটির দিচ্ছে না বরং রাজ্য থেকে ট্যাক্স নিয়ে যাচ্ছে এবং আর যে যে প্রাপ্যটা সেটা কোন মতেই দিচ্ছে না। করোনার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ৯০ হাজার টাকা কোটি বকেয়া রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে”।
আরো পড়ুন: বড়ো খবর, বাংলায় এক ধা’ক্কা’য় ৪ ও ৫ টা’কা দা’ম ক’মি’য়ে দেওয়া হলো, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করবেন, “করোনা পরিস্থিতির জন্য যেনো জিএসটি সমেত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মেয়াদ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় আরো ৫ বছর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দেশের অর্থনীতি একদমই তলিয়ে গেছে। যেভাবে প্রত্যেক দিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তা একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
যেভাবে জ্বালানির দাম বাড়ছে তার নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এখন যেন টোল ট্যাক্স বন্ধ রাখা হয়।”