২০২০ সাল থেকে গোটা বিশ্বে করোনা তার দাপট চালিয়ে যাচ্ছে। গোটা দু’বছর ধরে করোনার দাপটে কাবু হয়ে গেছে গোটা বিশ্ব। করোনার দাপট থেকে কিছুতেই মুক্তি পাচ্ছে না গোটা বিশ্ব।
এক এক করে করোনার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপ অতিক্রম করার পর আস্তে আস্তে করোনার দাপট যখন কিছুটা কমে আসছে গোটা বিশ্বে, এরকম পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজগুলি আবার নতুন করে খুলতে শুরু করেছে। শিক্ষাব্যবস্থা আবার পুনরায় চালু হতে চলেছে।
এই রকম অবস্থাতাতে নতুন করে আবার করোনা সংক্রমনের খবর পাওয়া গেল বুধবার। নয়ডায় ৩৩ জন করোনায় ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২৩ জন শিশু। বিশেষজ্ঞদের মতে এইবারের করোনার ছোবল পড়তে চলেছে শিশুদের ওপর।
আরো পড়ুন: হাঁসখালি: অভিযুক্তদের ফাঁ’সি চা’ন নি’র্যা’তি’তা’র বাবা
এই গোটা বিষয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নামজাদা চিকিৎসক হরিশ চাফলে। তার মতে, যেহেতু শিশুদের টিকা করন করানো হয়নি সেইজন্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
গোটা করোনার সময়কালের শিশুরা বাড়িতে আটকে ছিল সেই জন্য সেই করোনার ঢেউ গুলিতে বাচ্চাদের ওপর তার প্রভাব তৈরি হয়নি। শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমনের যে যে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে সেগুলো হলো জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, সর্দি।
এরকম সময় শিশুদের নিরাপদ রাখার জন্য কিছু ব্যবস্থা অবিলম্বে অবলম্বন করা দরকার। ইতিমধ্যেই চিকিৎসকরা শিশুদের বাবা-মাকে কিছু কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে বহুদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলতে শুরু করেছে এরকম পরিস্থিতিতে নতুন একটি আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে, কিন্তু তার মধ্যেই করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে সত্যি এটা চিন্তার বিষয়।
সেই জন্য কোন উপসর্গ যদি কোনো শিশুর মধ্যে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই তাকে স্কুল সেই মুহূর্তে না পাঠানো উচিত।