FasTag বন্ধ করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, সেই জায়গায় টো’ল সংগ্রহের ন’তু’ন পদ্ধ’তিও চালু করার পরিকল্পনায় রয়েছে কেন্দ্র। এবারে টো’ল ট্যাঙ্ক সংগ্রহ করার বেশ অত্যা’ধুনিক পন্থা অবলম্বন করা হবে – স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে টোল সংগ্রহের নতুন পদ্ধতি ব্যবহার যে শুরু হয়ে গিয়েছে তা জানা গিয়েছে একাধিক সূত্র মারফৎ।
নতুন পদ্ধতিতে কোন গাড়ি হাইওয়ের উপরে কত কিলোমিটার চলেছে তা মেপে টোল ট্যাক্সের পরিমাণ নির্ধারিত হবে। অর্থাৎ যত বেশি পথ যাবে, তত বেশি টোল ট্যাক্স দিতে হবে।
এই প্রোজেক্টটির নাম পাইলট প্রোজেক্ট। ইতিমধ্যে ভারতের রাস্তায় এই প্রোজেক্টের কাজ শুরু করা হয়েছে। ইউরোপে ইতিমধ্যেই সফলভাবে এই পদ্ধতি চালু রয়েছে। ইউরোপের এহেন সফল কার্যকলাপ দেখে ভারতের রাস্তায় টোল সংগ্রহের এই পদ্ধতি নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র।
জার্মানির রাস্তায় স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম প্রায় 98.8 শতাংশ গাড়িতে ইতিমধ্যেই ইনস্টল করা হয়েছে। টোল রোডে প্রবেশ করলে নিজে থেকেই এই সিস্টেম ট্যাক্সের হিসাব শুরু করে দেয়। পরে যখনই টোল রাস্তা থেকে গাড়ি বেরিয়ে যায় তখন দূরত্ব হিসাব করে সেই টাকা কেটে নেওয়া হয়। FasTag অ্যাকাউন্ট থেকে ঠিক যেভাবে টাকা নিজে থেকেই কেটে নেওয়া হয় একই পদ্ধতিতে নতুন সিস্টেমেও অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা কেটে নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে ভারতের 97 শতাংশ গাড়িতে FASTag এর মাধ্যমে টোল ট্যাক্স সংগ্রহ করা হয়।
পাইলট প্রোজেক্টে দেশের 1.37 লক্ষ গাড়িতে নতুন এই স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। এই কাজে ভারতকে সাহায্য করছেন রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞরা। তবে নতুন এই পদ্ধতি প্রণয়নের আগে দেশের পরিবহন নীতি বদল করতে হবে। ইতিমধ্যেই এই জন্য সঠিক তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে বিশেষজ্ঞরা। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিশেষজ্ঞ কমিটি কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পেশ করতে পারে বলে খবর। এই রিপোর্ট পেশ হলে তবেই সবদিক বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
ইউরোপের মতো ভারতেও যদি টোল সংগ্রহের এই পদ্ধতি সফলভাবে প্রণয়ন করা যায়, তবেই হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর খরচ কিছুটা কমবে। নতুন পদ্ধতিতে যত রাস্তা আপনি সফর করবেন সেই দূরত্বের জন্য আপনাকে টোল ট্যাক্স দিতে হবে।