আমরা প্রায়ই দেখে থাকি এক একটা মানুষের কত রকমের সখ থাকে। গান শোনা, নাচ করা, বা খেলাধুলা করা এগুলো তো ভীষন কমন। এতে কেও অবাক হয়না। বরং মানুষ এগুলোই তো করবে তেমনই আশা করেন সকলে। কিন্তু একটু খোঁজ করলেই দেখা যায় এই বাঁধাধরা গণ্ডির বাইরে অনেক মানুষের আজব আজব সখ রয়েছে যা দেখে আশ্চর্য হতে হয়। যেমন এমন অনেক নিদর্শন দেখা গেছে যে কেউ অনেক পুরনো অ্যান্টিক জিনিস অনেক দাম দিয়ে কিনে ঘর ভরিয়ে তোলে, কেউ আবার বিষাক্ত সব সাপ, পোকা এসব পোষেন, কেও আবার বাঘ ও পোষেন।
এরকম অনেক রকমের সখের উদাহরণ মেলে আজকাল প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর ঠিক তেমনি এক তরুণীর সখের কারণে তাঁর গিনিস বুকে নাম উঠে গেলো শেষ অবধি। এই তরুণী হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা। নাম ইনগার ভ্যালেন্টাইন। আর এনার সখ হলো ইনি পাগলের মত চা বানাতে ভালোবাসেন। অনেক কম সময়ের ব্যবধানেই ইনি কাপের পর কাপ চা বানিয়ে ফেলতে পারেন। আর সম্প্রতি এক প্রতিযোগিতায় তিনি অংশগ্রহণ করেন।
সেখানে এক ভেষজ চা এর প্রজাতি রুইবোস, সেই প্রজাতির চা বানাতে শুরু করেন। রুইবোস লাল রঙের একটি ভেষজ চা, যা দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ অ্যাসপালাথাস লিনিয়ারিস গাছের পাতা থেকে তৈরি করা হয়। সেই তরুণী রুইবোসের সাধারণ স্বাদ, ভ্যানিলা এবং স্ট্রবেরির স্বাদ ব্যবহার করেন চা বানাতে গিয়ে।
উল্লেখ্য, চা তৈরিতে আগের রেকর্ড ছিল ঘণ্টায় ১৫০ কাপ। ইনগারের ধারণা ছিল, তিনি ঘণ্টায় ১৭০ কাপ তৈরি করতে পারবেন, তাতেই বিশ্ব রেকর্ড হতে পারত। কিন্তু নিজেকেও অবাক করে ২৪৯ কাপ চা তৈরি করে গিনেস বুকে নিজের নাম লেখালেন তরুণী। এবং সেটা হয়তো ২৫০ কাপই হতে পারতো কিন্তু যতোটা চা একটা কাপে হতে হতো সেই তুলনায় ওই কাপে কম থাকার জন্য ২৪৯ এই থামতে হয় তাকে। তবে তাতেই তার গিনিস বুকে নাম তোলার জন্য যথেষ্ট হয়।
এবং এই এত চায়ের কাপ ধুতেও তো হয়। জানা যায় সেখানের স্থানীয় স্কুলের বাচ্চারা উপস্থিত ছিল তারাই ওই তরুণীকে সাহায্য করেন অত কাপ ধুতে। তবে ওই তরুণীকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কেমন বোধ করছেন এই স্বীকৃতিতে? তিনি উত্তরে জানান, তিনি খুব খুশি তবে আরো বেশি খুশি হবেন যদি দক্ষিণ আফ্রিকার ওই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প আরো উন্নয়ন হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার পশ্চিম কেপ প্রদেশে চা তৈরির রেকর্ডটি গড়েন ইনগার। ওই অঞ্চলে পর্যটন শিল্পকে জনপ্রিয় করতেই চা তৈরির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই সকলকে পেছনে ফেলেন ইনগার ভ্যালেন্টাইন। স্বভাবতই অভিনব রেকর্ড গড়ে খুশি তরুণী। তবে এলাকায় পর্যটন শিল্প উন্নয়ন হলে আরও খুশি হবেন, জানান তিনি। জানা গিয়েছে, ভেষজ চায়ের চাষ করেন স্থানীয় কৃষকরা। তাদের জন্য রুইবোস চায়ের জনপ্রিয়তা জরুরি, জানান ইনগার।