সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দাম্পত্য অথবা স’ম্প’র্ক থেকে বেরিয়ে আ’সা’র কি সময় হ’য়ে গিয়েছে? এই লক্ষণে বু’ঝে নিন

প্রেম, বিয়ে বা লিভ ইন যাই হোক না কেন দুই সঙ্গীর মধ্যে ভালবাসা যেমন থাকে, তেমনই থাকে মনোমালিন্য। যে কোনও ভালবাসার অন্যতম অঙ্গই ঝগড়া বিবাদ। আর মাঝে মাঝে সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে আমরা খুব সহজেই তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে দিই৷ কিন্তু কোনো সম্পর্ক ভাঙা কি এতই সহজ!

অহেতুক রেগে গিয়ে হোক বা সঙ্গীকে অযথা সন্দেহ করে অনেকেই ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু কখনও সম্পর্কে র গভীরে গিয়ে দেখেছেন কি আপনি সঙ্গীর সঙ্গে ভাল আছেন কিনা! যদি সঙ্গী আপনার সাথে সত্যিই বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকে তাহলে আপনাকেই ভেবে দেখতে হবে আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে আপনি তার সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ থাকবেন কিনা।

সঙ্গী বিশ্বাস ভাঙলে নানারকম প্রশ্ন মনে ভিড় করে। অনেক সময় এও মনে আসে সঙ্গী কেন অন্য কারোর সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হল! তবে কি আপনিই অযোগ্য! এই জাতীয় ভুল ভাবনাচিন্তা সবসময় মন থেকে দূরে রাখবেন।

আরো পড়ুন: পরকীয়ায় ম’ত্ত পঞ্চম স্বামী রাজ! তৃতীয়জনকে শা’সা’লে’ন পরীমণি

যদি সত্যিই সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে চান তাহলে যত শীঘ্র সম্ভব সমালোচনাকে দূরে রাখুন। কারণ সমালোচনা যেকোনো সম্পর্ককে বিষিয়ে দেয়। তাই সঙ্গীর তিক্ত সমালোচনার বশবর্তী হয়ে আপনার দমবন্ধ লাগবে এটাই তো স্বাভাবিক। সঙ্গীর থেকে সমর্থন বা ভরসা যদি না পান তাহলে সেই সম্পর্ক অহেতুক বয়ে নিয়ে চলার কোনো মানে হয় না।

সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার অন্যতম মাধ্যম হল দুজনের মধ্যে সুস্থ যোগাযোগ স্থাপন। কিন্তু সঙ্গী যদি অন্যজনের কথা না ভেবে কেবল নিজের সুবিধে নিয়েই ভেবে যান, তাহলে সেই সম্পর্কে অবধারিত ফাটল ধরবেই। তাই সবসময় একে অন্যের প্রয়োজন বুঝতে হবে।

সম্পর্ক ভালো হওয়ার পরিবর্তে যদি ছোট ছোট বিষয় নিয়েই সবসময় ঝগড়া হয় তাহলে তার থেকে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। তাই সেই সম্পর্কে না থাকাই ভালো। সংসারে অর্থকরী দিকটির প্রতি দুই সঙ্গীর সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। কিন্তু যদি সঙ্গী আপনাকে সে ব্যাপারে জানাতে একেবারেই আগ্রহী না হয় এবং সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে একাই সব সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সেই সম্পর্কের ভিত কখনোই গড়ে উঠবে না।