সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভালোবাসা টা’নে তামিলনাড়ু থেকে সো’জা বরিশালে প্রেমিক, প্রেমিকার স’ঙ্গে দে’খা করতেই মা’র খেলেন

“শোনো মন বলি তোমায় সব করো প্রেম করো না প্রেম যে কাঁঠালের আঠা লাগলে পরে ছাড়ে না”, সত্যিই প্রেম বড় কাঁঠালের আঠা সেইজন্যে একবার যদি কেউ প্রেমে পড়ে তাহলে সে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে পাড়ি দিতেও দুইবার ভাবে না। সম্প্রতি এ রকম একটি ঘটনা ঘটল । বাংলাদেশের এক তরুণীর প্রেমে মত্ত হয়ে তামিলনাড়ুর এক যুবক পাড়ি দিত বাংলাদেশ।

অনেকেই লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁটাতারে পার হয়ে ভারতে কিংবা বাংলাদেশের প্রবেশ করার চেষ্টা করে যার ফলে তাদের কপালে জোটে ঠ্যাঙানি কিন্তু এই ঘটনাটি ঘটেছে একেবারে অন্য কিছু। তামিলনাড়ুর প্রেমকান্ত, যিনি পেশায় একজন নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার এবং নিত্য শিল্পী প্রেমকান্ত বাংলাদেশের বরগুনার তালতলী উপজেলার এক কলেজ পড়ুয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান, যার কারণে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে প্রেমকান্ত সোজা পাড়ি দেয় বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে।

ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে পৌঁছে গেলও প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁকে বরিশালের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে হয় প্রায় এক সপ্তাহ। শেষে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হওয়ার বদলে জুটেছে মার। সেখানে গিয়ে প্রেমকান্ত জানেন, তার প্রেমিকা অন্য একটি এলাকার যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত। ওই প্রেমিকার অন্য প্রেমিকের থেকে তার কপালে মারও জুটেছে।

আরো পড়ুন: জেলেও শা’ন্তি নেই! পার্থর উপর অ’ত্যা’চা’র করছে অন্য কয়েদিরা

এমনকি তার কাছে যা টাকা পয়সা ছিল সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছিল। প্রেমকান্ত তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি বাংলাদেশের পুলিশের কাছে যান,এর পরে পুলিশ হেফাজতে তাকে দুদিন থাকতে হয় কিন্তু তবুও শেষ পর্যন্ত তার প্রেমিকার দেখা সে পায়নি। খবর সূত্রে জানা গেছে যে ওই যুবকের সঙ্গে তরুনীর প্রেমের সম্পর্ক ২০১৯ সাল থেকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমকান্তর নাচ দেখেই প্রেমে পড়েছিল ওই তরুণী। নিয়মিতভাবে ভিডিওতে লাইক কমেন্ট করত। অবশেষে তাদের মধ্যে কথাবাত্রা হওয়ার পর প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রেমকান্ত পাড়ি দেন ২৪শে জুলাই। ২৫শে জুলাই তারা একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। অবশেষে জানা যায় আসল গল্প। জানা যায়, ওই তরুণীর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।

প্রেমকান্তর অভিযোগ, ওই তরুণীর আর একটা প্রেমিক এর কাছ থেকে তাকে মার খেতে হয়েছে, এমনকি তারা টাকা পয়সা যা ছিল, সমস্ত কিছুই ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রেমকান্ত বৈধভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল, যার কারণে তাকে মর্যাদাসহ দুদিন থানায় রেখে ভারতে পাঠানোর কথা চিন্তা ভাবনা করা হয়েছিল।

প্রেমকান্ত চেয়েছিল,তিনি চলে আসার আগে যেন একবার তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে পারেন, কিন্তু সেই ইচ্ছাটা পূরণ হয়নি কারণ দেখা পাওয়া যায়নি সেই মেয়েটির। অবশেষে ভাঙা হৃদয়েই তাকে তার দেশে ফিরতে হয়েছে।