সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিশ্বউষ্ণায়ন, প্র’চ’ন্ড তাপপ্রবাহে শু’কি’য়ে যা’চ্ছে লন্ডনের বিখ্যাত টেমস নদী

ইংল্যান্ডের টেমস নদী ঐ দেশের মুকুট বলে মনে করা হয়। আর সেই নদী কিনা শুকিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। ১৯৭৬ সালের পর ঘটল এইরকম একটা পরিস্থিতি। প্রসঙ্গত, ৩৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ টেমস বয়ে গিয়েছে লন্ডন-সহ গোটা দক্ষিণ ইংল্যান্ড জুড়ে। টেমসের উৎস প্রতি বছর গ্রীষ্মেই কিছুটা শুকিয়ে যায়।

তবে এ বছর আগের বছরগুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি শুকিয়ে গিয়েছে এই নদী। বলা হচ্ছে, অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের জন্যই এই নদী শুকিয়ে যেতে চলেছে। রিভার্স ট্রাস্ট-এর পলিসি অ্যান্ড সায়েন্স ডিরেক্টর রব কলিন্স জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকার কারণে গ্লস্টারশায়ারের কাছে টেমসের উৎসমুখ শুকিয়ে গিয়েছে। নদীর স্রোতও ক্রমে দুর্বল হচ্ছে।

এত প্রবল তাপপ্রবাহ ইতিপূর্বে দেখা গিয়েছিল ১৯৭৬ সালে, যদিও তখন তাপমাত্রার পারদ এতটা চড়েনি। কিন্তু গত শুক্র-শনিবার উষ্ণতা বেড়ে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে ‘অ‌্যাম্বার’ সতর্কতা । ফলে এই মারাত্মক তাপে রূপ হারাচ্ছে টেমস নদী।

আরো পড়ুন: বাংলায় ফের ঝ’ড়ে’র তা’ন্ড’ব, বহু ক্ষ’য়’ক্ষ’তি

আবহাওয়ায় অফিস থেকে জানানো হচ্ছে যে, ব্রিটেনে এই প্রথম গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পেরিয়ে গিয়েছে। এই পর্বে ইতিমধ্যেই দু’টি সবচেয়ে বেশি উষ্ণ দিন বলে নথিবদ্ধ হয়েছে। এমনটা এর আগে ঘটেছিল ১৯৬০ সালে। তবে এতটাও হয়নি। কিন্তু এবারে সত্যি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। খুব একটা ভালো বোধ করছে না আবহাওয়ায়বিদরা।

তারা এও জানিয়েছে যে, এর মধ্যে কোনো বৃষ্টিপাত হওয়ারও সম্ভবনা নেই, হলেও খুবই কম হতে পারে । ফলে আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে । কেবল হাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞরাই নন, এত গরম আগে কখনও পড়েনি বলে দাবি করছেন আম ব্রিটিশরা। ওয়েলসের বাসিন্দা রায়ান জানিয়েছেন, ‘‘এমন বীভৎস গরম আগে কখনও দেখিনি।’’ ফলত বলাই যায় আগামী দিনে ব্রিটেনে টেমস নদী শুকিয়ে গেলেও যেতে পারে। অনেকে তো ব্রিটেনে খরা হওয়ার সংকেত দিচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে।