সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

একদম সাদামাটা মানুষ অরিজিৎ সিং, ছেলেকে স্কুলে ভ’র্তি করালেন গায়ক, মি’শে গেলেন সকলের স’ঙ্গে

টলিউড থেকে বলিউড তাঁর গান ছাড়া সব কেমন যেন খালি খালি – বর্তমান সময়ে গান বলতেই কানে ভেসে ওঠে তাঁর কন্ঠস্বর। আসমুদ্র হিমাচল যাঁর সুরের জাদুতে মুগ্ধ, যাঁকে ছাড়া বলিউডের প্রখ্যাত সব সঙ্গীত পরিচালকদের ‘সেকেন্ড চয়েস’ নেই। কার কথা বলছি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন! হ্যাঁ, মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে উঠে আসা সেই ছেলেটি অরিজিৎ সিং।

এই ছেলের চোখে যেমন মায়া, তেমনই গলায় জাদু। তিনি যেন সত্যিই গানে ভুবন ভরিয়ে দেন। বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক সোনু নিগম একবার তাঁর গানের প্রশংসা করে বলেছিলেন, “আমি অরিজিৎকে গানে ১০-এ আট দেব যেখানে নিজেকে মাত্র পাঁচ দেব।” অরিজিতের গলায় আর শুধু গোটা দেশ নয়, বলা যেতে পারে মুগ্ধ গোটা পৃথিবী।

এত খ্যাতি প্রতিপত্তি থাকা সত্ত্বেও আজও সেই মানুষটা মাটির মানুষ। নিজেকে কখনোই সেলেব ভাবতে পারেননা তিনি। এখন তাঁর ঠিকানা মুম্বাই এর আন্ধেরি। কিন্তু সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে নয়, বরং তিনি কখনোই নিজের শিকড় ছেড়ে বেরোতে চাননি। তাই থেকে গিয়েছেন জিয়াগঞ্জে।

করোনার শুরুতেই অরিজিৎ ফিরে আসেন নিজের গ্রাম জিয়াগঞ্জে। করোনা অরিজিৎ এর কাছ থেকে তাঁর জীবনের সব কিছু অর্থাৎ মাকে কেড়ে নিয়েছে। মায়ের মৃত্যুর পর অরিজিৎ শুধুই জিয়াগঞ্জের উন্নতি নিয়ে ভেবেছেন।

সেখানকার গ্রামীণ হাসপাতালে নিজের খরচায় অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছেন। গানের অনুষ্ঠান করে সেই টাকা তুলে দিয়েছেন করোনা রোগীদের চিকিৎসায়। একেবারে সাদামাটা পোশাকে জিয়াগঞ্জের পথে মাঝেমধ্যেই তাঁকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।

কখনো কখনো রাস্তায় স্কুটি নিয়ে ঘুরে বেড়ান। আর যদি কেউ তাঁর ছবি তোলে, তখন তিনি বলেন, “আমি তো তোদেরই লোক”। চায়ের দোকানে গিয়ে চা খান।

স্ত্রীকে নিয়ে বাজারে যান। এমনকি জিয়াগঞ্জে রূপম ইসলামের গান শুনতে যান তিনি। তবে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গান শোনেন। মাথায় হুডি পরে নেন, যাতে তাঁকে কেউ না চিনতে পারে। কে বলবে এই ছেলের বিশ্বজোড়া জনপ্রিয়তা!

আবারও এই মানুষটা তাঁর সরলতার জন্য ফের একবার শিরোনামে উঠে এলেন। তাঁর মতে এই সাদামাটা জিয়াগঞ্জের ছেলেই তাঁর একমাত্র পরিচয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অরিজিতের বেশ কিছু অবাক করা ছবি ভাইরাল হয়েছে।

অরিজিৎ ছেলে জুল-কে ভর্তিও করেছেন বহরমপুরের মাউন্ট লিটেরা জি স্কুলে। সম্প্রতি সেই স্কুলেই যান অরিজিৎ। স্কুল খোলায় ছেলেকে সেখানে পৌঁছতে গিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি পৌঁছে যান স্কুলের প্রবেশদ্বারে।

স্কুলের গেট তখনও খোলেনি, তাই আর পাঁচজন সাধারণ বাবা-মায়ের মতো তিনিও ছেলেকে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন স্কুলের দরজায়। তাঁর স্ত্রীও তাঁর সাথে ছিলেন।

আর এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনরা তাঁর সারল্যের প্রশংসায় মেতে উঠেছেন। কুর্নিশ জানিয়েছেন, এত বড় সেলিব্রিটি হওয়া সত্ত্বেও তাঁর সাদামাটা জীবন কাটানোর এহেন মানসিকতাকে।