সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জীবনকৃষ্ণের অ’ত্যা’চা’রে অ’তি’ষ্ঠ ছিলেন বাবা বিশ্বনাথ, ছেলের গ্রে’ফ’তা’রি নিয়ে কি বললেন তিনি?

দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো, একথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহার বাবা বিশ্বনাথ সাহা। ছেলের ‘অত্যাচারে অতিষ্ঠ’ তিনি। ছেলের সাথে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। নিয়োগ দুর্নীতির পান্ডার খোঁজে গত শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের আন্দিতে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় সিবিআই।

তিনি বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। সেই সময় তার বাড়িতে একটি মিটিং চলছিল।সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের একাধিক জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় নেতারা। এদের সকলকে গৃহবন্দি করে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই।

তথ্য লোপাট করতে, তল্লাশি চলাকালীন জানলা দিয়ে বাড়ির পিছনের আমবাগানে বেশ কিছু গুরুত্তপূর্ণ নথি ও তার মোবাইল ফোন ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। পরে সেগুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর নিজেকে বাঁচাতে বাড়ির পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল বিধায়ক।

কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে গ্রেফতার হন।বর্তমানে তিনি রয়েছেন সিবিআই এর হেফাজতে। ছেলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিশ্বনাথ বলেন,‘‘ওকে গ্রেফতার করেছে শুনে আমার কিছু মনে হয়নি।কোনও দুঃখ নেই। ও মানুষের অনেক ক্ষতি করেছে।এর শাস্তি পেতেই হবে। আমি ওই সব ব্যাপারে আর নেই।’’

আরো খবর: মমতার সাংবাদিক বৈঠক, নি’য়ো’গ দু’র্নী’তি নিয়ে কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

বিশ্বনাথের বক্তব্য, ‘‘ও যে বিধায়ক হয়েছে, তা আমাকে জানায়নি। আমাকে সম্মান করে না। উল্টে আমার ব্যবসায় আরও সমস্যা সৃষ্টি করে। আমার চালের গোডাউনে গাড়ি লাগাতে দেয় না।গোডাউন দখল করে অফিস করেছে। ও গ্রেফতার না হলে আমাকে অত্যাচারে টিকতে দিত না।আমকে বলতো,তোকে হাজতে ভরে দেব।আমরা ওর ক্ষমতার জন্য কিছুই বলতে পারি না।সব মুখ বুজে সহ্য করতে হত।”

তিনি আরও জানিয়েছেন,”আমি একটি স্থানীয় স্কুলে মিড-ডে মিলের লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছিলাম। সিরিয়াল লিস্টে এক নম্বরে নাম ছিল। কিন্তু সেই লাইসেন্স ও অন্য জনের থেকে ঘুষ নিয়ে বেঁচে দিয়েছে। আমার ব্যাপারেই তো ঘুষ খাচ্ছে, কিছু বলার নেই!’’