সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

খাতা জু’ড়ে শুধুই জিলিপির প্যাচ, লেখা নেই কোনো শ’ব্দ, হ’ত’বা’ক প্রধান পরীক্ষক

করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের। কারণ জীবনের অনেকটা সময় থেকে বাদ পড়েছে পরীক্ষা বিষয়টি। করোনা আবহে শুরু হয়েছিল অনলাইন পরীক্ষার চল।

তাই পরীক্ষার প্রতি আর কোনো ভীতি থাকবে না এটাই তো স্বাভাবিক! তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আবারও স্কুল কলেজ খোলার পাশাপাশি অফলাইন পরীক্ষার কথা ঘোষণা করে শিক্ষা দপ্তর। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অফলাইন পরীক্ষা দিতে চায়না বলে সরব হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তার ফলাফল হয়েছিল শূন্য।

দু’বছর পর আবার মাধ্যমিক পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের আগমন ঘটে। করোনা পরিস্থিতিতে নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করায় প্রথম থেকেই পরীক্ষকদের কাছে নির্দেশ আসে কড়াভাবে খাতা না দেখে তাদের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ হওয়া।

আরো পড়ুন: KK-র শে’ষ ইচ্ছেপূরণ করলো পরিবার, ব’দ’লে দেওয়া হ’লো instagram-র ডিপি

কিন্তু পরীক্ষার খাতা দেখতে গিয়ে পরীক্ষকদের চক্ষু চড়কগাছ। পরীক্ষার খাতায় উত্তর তো দূরস্থান, এমন অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা খাতা জুড়ে হুবহু প্রশ্নপত্রটাই টুকে দিয়েছিল।

অনেকে আবার এমন উত্তর লিখেছিল যার সঙ্গে প্রশ্নের কোনো মিলই খুঁজে পাননি পরীক্ষকরা। কেউ কেউ আবার একটি অক্ষরও না লিখে খাতা জমা দিয়েছিল। ভাবুন তো এভাবে কি করে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া যায়!

সম্প্রতি এমনই একটি খাতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে খাতাটি ফাঁকা নয়, আবার কিছু লেখাও নেই। আছে শুধু সারা খাতা জুড়ে আঁকিবুকি। মাধ্যমিকের খাতার এই অবস্থা! জীবনের প্রথম সবচেয়ে বড় পরীক্ষা বলা যায় মাধ্যমিককে। এহেন খাতা দেখে নেটিজনরা মুখের ভাষা হারিয়েছেন।

তবে খাতাটি কি করে ভাইরাল হল সেই সম্পর্কিত এক কাহিনী রয়েছে। মাধ্যমিকে শূন্য নম্বর পেয়েছে দেখে এক পরীক্ষার্থী নম্বর বাড়ানোর জন্য তার পরীক্ষার খাতা রিভিউ-এর আবেদন করেছিল। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যখন প্রধান পরীক্ষক খাতা পরীক্ষা করেন তখন তিনি রীতিমতো হতবাক হয়ে যান।

তিনি দেখেন খাতায় সঠিক ভাবে একটি বাক্যও লেখা নেই। পুরো খাতা জুড়ে আছে কেবল আঁকিবুকি। তাই শূন্য খাতায় কতটা আর সহানুভূতি দেখানো যায়, সেই বিষয়ে পরীক্ষকদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন।