হিন্দু ধর্মে দেবাদিদেব মহাদেবের একটি বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে আমাদের জীবনে। ভগবান শিবকে আমরা শিব লিঙ্গ রূপে পূজা করি। ভগবান শিব যেমন অল্পে সন্তুষ্ট হন তেমন অল্পে রুষ্ট হয়ে যান। মহাদেব কে বলা হয় ধ্বংসের এবং সৃষ্টির দেবতা।
স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী অনন্ত আকাশ শিবলিঙ্গ এবং পৃথিবী তার ভিত্তি। একসময় ব্রহ্মাণ্ড এবং সমস্ত দেবতা ঈশ্বরের বিলীন হয়ে যাবে। পূরণে বলা হয়েছে, যখন শিব ব্রহ্মা এবং বিষ্ণুকে নিজের উর্ধাংশ এবং নিম্নাংশ খুঁজতে বলেন তখন ব্রম্ভা এবং বিষ্ণু কিছুই খুঁজে পান না।
অর্থাৎ শিবের আদি অথবা অন্ত কিছুই নেই। শিব পুরাণ অনুযায়ী শিবলিঙ্গ ভীষণ সংবেদনশীল। বাড়িতে কখনোই শিবলিঙ্গ রাখা যায় না। তবে যদি বাড়িতে শিবলিঙ্গ পূজা করা হয় তাহলে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় সকলকে।
আরো পড়ুন: পরিবারে কেউ জ’ন্মা’লে না’ম রাখবেন না “শুভেন্দু”: সায়ন্তিকা
প্রতিদিন শিবলিঙ্গের পূজা করা সম্ভব হলে তবেই শিবলিঙ্গ স্থাপন করতে হয়।
বাড়িতে শিবলিঙ্গ রাখলে তার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা উচিত নয়। শিবলিঙ্গ রেখে নিয়মিত পুজো এবং অভিষেক করা উচিত।
সম্ভব হলে নর্মদা নদীর পাথর দিয়ে শিবলিঙ্গ তৈরি করা শিবলিঙ্গ বাড়িতে রাখা উচিত।
বৃদ্ধাঙ্গুলির উচ্চতার সমান শিবলিঙ্গ বাড়িতে রাখা উচিত। অতিরিক্ত বড় শিবলিঙ্গ কখনোই ঠাকুরঘরে স্থাপন করা উচিত নয়।
বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যা শিবলিঙ্গের পূজা করা উচিত। প্রতিদিন পুজো করা সম্ভব না হলে বাড়িতে শিবলিঙ্গ রাখবেন না।
আরো পড়ুন: রামপুরহাট কা’ণ্ডে হ’স্ত’ক্ষে’প করলেন প্রধানমন্ত্রী, কি বললেন তিনি?
ঈশান কোণে উন্মুক্ত স্থানে শিবলিঙ্গ রাখা উচিত। পাকিস্তানি অথবা কি বাড়িতে দুটি শিবলিঙ্গ রাখবেন না
শিবলিঙ্গ এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে সব সময় শিবলিঙ্গকে জল দেওয়া যায়
বাড়িতে ধাতুর তৈরি শিবলিঙ্গ রাখতে হলে ব্যবহার করতে হবে সোনা, রূপা বা তামা। শিবলিঙ্গ পূজা করার সময়ে সিঁদুর এবং হলুদ অর্পণ করতে নেই।