সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কর্ণাটকের কোলার জেলায় রয়েছে কোটি লি’ঙ্গে’শ্ব’র শিব মন্দির, জানুন মন্দির স’ম্প’র্কে অ’জা’না কা’হি’নী

গোটা হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রের ত্রিশক্তি বলতেই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরকে বোঝানো হয়। এই শক্তির মধ্যে সবথেকে প্রধান হলেন শিব। শিবকে অতিপ্রাচীন সম্প্রদায়ের ঈশ্বর বলে মনে করা হয়, তারজন্যে গোটা ভারতবর্ষের আনাচে-কানাচে রয়েছে শিবের মন্দির।

শিব ঠাকুরকে আদি দেবতা বলেই মনে করা হয়। একটি মন্দির অবস্থিত ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের কোলার জেলার কমমাসান্দা গ্রামে। এই গ্রামে অবস্থিত লি’ঙ্গে’শ্ব’র শিব মন্দির। এই মন্দিরটি গোটা বিশ্বের বৃহত্তম এবং অন্যতম শিব মন্দির হিসেবেই মনে করা হয়।এবার আসুন জেনে নিই মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত।

এই গ্রামটি একটি ধর্ম স্থলী বলে পরিচিত, এখানে অনেক বড় বড় শিব ঠাকুরের মূর্তি রয়েছে যেগুলো প্রায় একশো আট ফুটের কাছাকাছি। এই মন্দিরটি দিয়ে প্রায় ১০ মিলিয়ন শিবলি’ঙ্গ রয়েছে।

ছোট থেকে বড় সমস্ত মাপেরই লি’ঙ্গ এখানে রয়েছে, কোনো টা তিন ফুট কোনটার আবার ১০৮ ফুট। যে মূর্তিটি সবচেয়ে বড় তার উচ্চতা ১০৮ ফুট অর্থাৎ গোটা এশিয়ার সবথেকে বৃহত্তম শিবলি’ঙ্গ এটি। দেশের আনাচে-কানাচে থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য।

আরো পড়ুন: OMG: জার্মানির এক ব্যক্তি ৯০ বার ক’রো’না’র টি’কা নিয়েছেন! কিন্তু কেন?

এই মন্দিরে শিব ঠাকুরের লি’ঙ্গ ছাড়াও রয়েছেন নন্দীর মূর্তির উচ্চতা ৩৫ ফুটের কাছাকাছি গোটা বিশ্বের সবথেকে বড় মাপের নন্দীর মূর্তির এখানেই রয়েছে। এই মন্দিরের আনাচে-কানাচে রয়েছে অনেক দেবতা।

এই গোটা এলাকা জুড়ে রয়েছে এগারটি মন্দির। বিষ্ণু মন্দির,শিব মন্দির এবং ব্রহ্মমন্দির, এছাড়াও রয়েছে দেবী কনিকা পরমেশ্বরি মন্দির, রাম সীতার মন্দির। সবথেকে অবাক জনিত ব্যাপার হলো এত মূর্তির রাখতে শুধুমাত্র জায়গা লেগেছে ১৫ একর।

জানা গেছে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে অনেক কাহিনী রয়েছে। এই মন্দিরটি তৈরি হওয়ার আগেই এই অঞ্চলে বসবাস করতেন মঞ্জুনাথ শর্মা নামের এক ব্যক্তি, তিনি অত্যন্ত সৎ ব্যক্তি ছিলেন। প্রথম দিকে তিনি নাস্তিক প্রকৃতির ছিলেন শিবকে তিনি মানতেন না।

আরো পড়ুন: সৌভাগ্য ফি’রি’য়ে আ’ন’তে Acid দি’য়ে কান লম্বা করা হচ্ছে! পার্লারের এমন কথায় চা’ঞ্চ’ল্য

হঠাৎ করে কোনো এক সময় এই ব্যক্তি শিবের দেবত্ব বোঝেন, এবং তারপরেই একটি শিব মন্দিরে পরিদর্শন করার পরে তিনি কিছু অশুভ লক্ষণ দেখেন এবং সেটাকে অনুভব করে এরপরেই নিজের জীবনের সমস্ত পাপ মোছার জন্য শিবলি’ঙ্গ তৈরীর কাজে নিযুক্ত হন। তিনি প্রায় এক কোটি শিব মূর্তি তৈরি করেছিলেন।