বাংলার শাসক দলের অনেক নেতা মন্ত্রীরা বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে রয়েছেন শ্রীঘরে। শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর মাসখানেক আগে তৃণমূলের (TMC) আরও এক হেভিওয়েট নেতা ধরা পড়েন কেন্দ্রীয় এজেন্সির(CBI) জালে।গরুপাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । তারপর থেকেই তিনি রয়েছেন শ্রীঘরে।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর,বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত তাঁকে ইডির হেফাজতে রাখতে নির্দেশ দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিচারক রাকেশ কুমার।
গরু পাচার কাণ্ডের মূল পাণ্ডা কে? কোথায় যেত গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা? এ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে বুধবার সকাল থেকে ইডির সদস্যরা দিল্লির প্রবর্তন ভবনে দফায় দফায় জেরা চালাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। যার ফলে উঠে এসেছে বিস্ময়কর সব তথ্য।
আরো খবর: OMR শিটে কা’র’চু’পি’র জে’রে ৩ হাজারের বেশি গ্রুপ-C কর্মীদের চাকরি ঝু’লে রইলো
আসানসোল জেলে নিজের পছন্দমতো খাবার চাইলে তৎক্ষণাৎ তা পেয়ে যেতেন অনুব্রত। সূত্রের খবর, আসানসোল জেলে রীতিমতো কবজি ডুবিয়ে ভোজন করতেন অনুব্রত। প্রতিদিনের মেনুতে হাজির থাকত মাছ-মাংস-দুধ-ঘি-পনির-মিষ্টি-লুচি-পরোটার মত সব পদ। বাদ যেত না ফ্রায়েড রাইস-চিকেন কষাও।
দিল্লির তিহার জেলেও তিনি সেইসব খাবারের আবদার করলে তা নাকচ করে দেন অধিকারিকরা।জেলের মেনু শুনেই সেইসব খাবারে অনীহার কথা জানান কেষ্ট।বাংলার জেলে কার্যত ‘জামাই আদর’ মিললেও ভিন রাজ্যে যে তাকে আর সকল অভিযুক্তর মতোই দেখা হবে সেকথা অনুব্রত টের পেয়ে গেছেন।