মানুষের জীবনের সবকিছু চাওয়া পাওয়া গুলো পূরণ হয় না ঠিক যেমন আমাদের অর্থাৎ সাধারণ মানুষের হয়না,তেমনি যে এত বড় অভিনেতাদের জীবনেও এমন না পাওয়া থাকতে পারে তা জেনেও অবাক হতে হয়।তেমনি বলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা যিনি সারাটা জীবন হয়তো পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে গেছেন, কিন্তু তার অভিনয় দক্ষতার কাছে আজও আমরা সসম্মানে মাথা নত করি। তিনি আর কেউ নন কাদের খান, তাঁরও জীবনের শেষ কিছু ইচ্ছা আজ অপূর্ণ রয়ে গেছে। তাঁকে সেই অপূর্ণতা নিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছিল, আমাদের অনেকেরই বদ্ধমূল ধারণা আছে অর্থের অভাবে জীবনে না পাওয়া থাকতে পারে। অর্থকে আমরা জীবনে বড় করে দেখি, কিন্তু অর্থ ছাড়াও জীবনে মানুষের এমন কিছু চাওয়া পাওয়া থাকে যার অভাবেও মানুষের আক্ষেপ থাকে।
টাকা দিয়ে যে সমস্ত কিছু কেনা যায় না, জীবনে চলার পথে টাকা জীবনে একটি অপরিহার্য অঙ্গ বলা যেতে পারে কিন্তু সবটুকু নয়, তেমনই ঘটেছে কাদের খানের সাথে। তিনি তাঁর মৃত্যুর আগে তাঁর কিছু সহ অভিনেতা অভিনেত্রীর সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই ইচ্ছা সম্মান রাখতে পারেননি কেউই , সবাই এতোটাই তাদের জীবনে ব্যস্ত ছিলেন যে সময় করে উঠতে পারেননি। অথচ এই অভিনেতাই শিখিয়েছিল মানুষকে কিভাবে অনাবিল আনন্দ দিতে হয়।
মানুষের মনোরঞ্জন কিভাবে করতে হয়, যদিও তিনি সারাজীবন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন কিন্তু তাঁর অভিনয় সত্তা মানুষের জীবনে নজর কেড়েছিল। তিনি প্রায় ৩০০ বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন, তাঁর মধ্যে ২০০ টিরও বেশী সিনেমাতে তাঁর নিজস্ব ডায়লগ আছে, তিনি তাঁর নিজের মতো করে তৈরি করতেন এবং সেই ডায়ালগে মানুষ যথেষ্ট আনন্দিত হত।
সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে, তার সহ-অভিনেতা গোবিন্দাকে তিনি কীভাবে সাহায্য করতেন। একবার অমিতাভ বচ্চনকে “স্যারজি” না বলায় সিনেমা থেকে বাদ পড়তে হয়েছে তাঁকে। জীবনের নানান ঘটনা তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, এমনকি তাঁর ছেলেও সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন বাবার সাথে হওয়া নানান দুর্ব্যবহারের কথা।
বলিউড তার বাবাকে কোনদিনই সম্মান দেয়নি সেভাবে, আমরা সচরাচর গ্ল্যামার জগতের বাইরে রূপটিকে দেখে যথেষ্ট উত্তেজিত হই, কিন্তু ভিতরে যে কতটা অপদস্ত হতে হয় সে অভিজ্ঞতা যারা এই গ্ল্যামার জগতে আছেন তারাই অনুভব করতে পারেন।