কথায় বলে সাবধানের মার নেই, কিন্তু এই কথা জানার সত্বেও অনেকেই ভুল করে ফেলেন আর যার খেসারত দিতে হয় খুব খারাপ ভাবেই। সম্প্রতি কামাক্ষা এক্সপ্রেসে আরা ও পাটনা স্টেশনের মাঝে অর্থাৎ বিহারে একটি চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম মারফত জানা যাচ্ছে যে, ওই ব্যাবসায়ী অর্থাৎ যারা টাকা চুরি গেছে তিনি রাজস্থানের নগৌর জেলার ব্যবসায়ী। নাম মনোজ কুমার জৈন। তিনি অসমের তপন নগরে ব্যাবসা করেন।
তিনি ওই ট্রেনে করে এদিন সেখানেই যাচ্ছিলেন। সঙ্গে দু’টি ব্যাগ ছিল তাঁর। ওই ব্যাগে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের সোনা ছিল। এছাড়াও নগদ দু’লক্ষ টাকাও পাচ্ছেন না তিনি। আর এই ঘটনা তিনি বুঝতে পারার পরেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, ট্রেনে ব্যাগ দু’টি মাথার নীচে রেখে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। আরা স্টেশন অবধি ব্যাগগুলি সে ভাবেই ছিল।
তারপরই উধাও হয়ে যায় সেগুলি। তিনি আরো বলেন যে, তার চুরি যাওয়া ২ কেজি সোনা তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি ছিল। ১০০ জন পাতিদারের মধ্যে তা ভাগ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন মনোজ। আর এই ঘটনা পুলিশকে জানানোর পর পুলিশরা তল্লাশি চালায়। ট্রেন থেকে শুরু করে স্টেশনের সব সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও কোনো কূল কিনারা করতে পারেন নি পাটনা পুলিশ। কাউকেই দেখা যাচ্ছে না তার ব্যাগ নিতে।
এছাড়াও এই নিয়ে মনোজ কুমারকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশে করেন। আর তার বয়ান বার বার বদল হতে থাকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ অনুমান করছে, হয়তো এরকম কোনো চুরীই ঘটেনি। ওই ব্যাক্তি বানিয়ে বানিয়ে বলছেন। ওনার ওই গয়না ও টাকা নিজেই হয়তো আত্মসাৎ করে চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজস্থানের ওই ব্যবসায়ী।
তদন্তকারী দল গয়না ও টাকা আত্মসাতের দিকটিও খতিয়ে দেখছে। তারা জানিয়েছে, বার বার নিজের বয়ান বদল করছেন মনোজ। তবে তদন্ত শেষ হলেই বোঝা যাবে আসল ঘটনাটি ঠিক কী। তদন্ত এখনও তাই জারি রাখা হয়েছে বলেই খবর। তাই দূরপাল্লার জার্নি করলে তাই পাবলিক ট্রানসপোর্ট – এ কখনোই এত দামী কিছু নিয়ে যাওয়া উচিত নয়।