তামিলনাড়ুর একই পরিবারের তিন সদস্যকে করোনা ভাইরাসের ওষুধের নামে বিষ খাইয়ে খুন করা হল। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর এডোরে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে দুইজন কে। মূল অভিযুক্ত কল্যাণসুন্দরাম কিঝভানি গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে করুণগোদানভালাসুর গ্রামের ৭২-এর বৃদ্ধ করুপ্পানাকোন্দরের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণ শোধ করতে না পারার জন্য শেষমেষ করুপ্পানাকোন্দরকে প্রাণে মেরে ফেলার ছক কষছে শুরু করে কল্যাণসুন্দরাম।
এই কাজ করার জন্য শবরী নামের এক যুবতীর সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। শবরীকে স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মী সাজিয়ে করোনা মুক্তির ঔষধ দেয়া হয় ওই পরিবারের ৪ সদস্যকে। গত ২৬ শে জুন অক্সিমিটার এবং থার্মোমিটার নিয়ে ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছিলেন শবরী। পরিবারের কারও জ্বর সর্দি হয়েছে কি না পরীক্ষা করার জন্য নাটক করতে শুরু করে দেন তিনি। এরপরই তিনি জানান করোনা হবে না এমন ওষুধ নিয়ে এসেছেন তিনি। সরকারের তরফ থেকে ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে সকলকে।
করুপ্পানাকোন্দর, তাঁর স্ত্রী মল্লিকা ও মেয়ে দীপা এবং বাড়ির পরিচারক কুপ্পল ওই ওষুধ খেয়েছিলেন। এর পরেই সকলে জ্ঞান হারান। প্রতিবেশীরা সঙ্গে সঙ্গে ৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে যাওয়ার পথে মল্লিকার মৃত্যু হয়। পরবর্তী সময় মারা যায় দীপা এবং কুপ্পাল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করানো হয় করুপ্পানাকোন্দরকে। এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাবার পর রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় কল্যানসুন্দরাম এবং শবরীকে।
ঘটনা তদন্ত করতে নেমে পুলিশের ডিএসপি জানিয়েছেন, কল্যান সুন্দরাম টাকা না দেওয়ার জন্য ওই পরিবারের সকলকে মেরে দেবার পরিকল্পনা করেছিলেন। বিষ মেশানো ওষুধ খাওয়ার ফলে প্রায় সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ১৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।