বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ ব্রিটেনের রাস্তায় গাড়ী চালাতে ভয় পাচ্ছে সেখানকার সাধারণ মানুষ। অগ্নিমূল্য বাজারে গাড়ির ট্যাঙ্ক ভর্তি করতে চলে যাচ্ছে তাদের ব্যাঙ্কের প্রায় অর্ধেক টাকা। রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে বহুগুণ। তাই গাড়ীর পেট্রোল খরচের আগে বহুবার ভাবতে হচ্ছে তাদের।
পেট্রোল চালিত সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল দেশের কথা আসলে আমাদের মুখে আসে হংকং।এখন সেটাকে ছাড়িয়ে দিলো টেমসনগরী।লন্ডনের রাস্তায় গাড়ী চালাতে সাধারণ নগরবাসীদের গুনতে হচ্ছে ২,৫১২ পাউন্ড । যা আমাদের ইন্ডিয়ান টাকায় প্রায় ২লাখ ৫০ হাজার টাকা।
২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দাম বেড়েছে ৫৫০ পাউন্ড। লন্ডনের পেট্রোলের দাম ছাড়িয়েছে ইউরোপের প্যারিস,জুরিখ শহরগুলিকেও। লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলছেন,বেশি দূষণযুক্ত গাড়ীদের থেকে নেওয়া হবে জরিমানা।
আরো খবর: ইসসস! ৪৩ তলা থেকে পাথর পরে ম’র্মা’ন্তি’ক মৃ’ত্যু ২ ব্যক্তির, চা’ঞ্চ’ল্য’ক’র ঘ’ট’না মুম্বইয়ে
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে,রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের পরেই ব্রিটেনে পেট্রোলের দাম এতটা বেড়েছে। পেট্রোলের এই আকাশ ছোঁয়া দাম শুনে সাধারণ লোক যাতায়াতের কাজে ব্যাবহার করছে -পাবলিক বাস,ইলেকট্রিক স্কুটার ।
কিন্তু ইলেকট্রিক গাড়ির খরচ কম হলেও গাড়ির দামও খুব বেশী , যেটা অনেকের কাছেই সাধ্যের বাইরে। লন্ডনে শুধু পেট্রোল নয়,সাথে বাড়ছে ডিজেলের দামও।
সেখানকার সাধারণ মানুষের ডিজেল চালিত গাড়ী চালাতে খরচ করতে হয় ২,৩৩৪ পাউন্ড যা ভারতীয় মূল্যে প্রায় ২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে অধিক যানবাহনের জন্য ,মানুষদের ৫.৫ দিনের আয়ু কমে আসছে।অধিক যানবাহনের জন্য সেখানকার গাড়ির গতিবেগ ঘন্টায় মাত্র ১৪ কিমি।