এবার ইডির নজরে রাজ্যের একাধিক ডিএড কলেজ। প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, নিয়োগ দুর্নীতির সূত্রপাত এইসব ডিএড কলেজের অন্দর থেকেই।
কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে থেকেই প্রার্থী বাছাই করে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি চূড়ান্ত হত, এমনই তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। যা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে আরও বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন ইডি কর্তারা।
শুধু মানিক ভট্টাচার্য নয়, তাঁর ঘনিষ্ঠ এমন দুজনের হদিশ পেয়েছেন ইডি কর্তারা, যাঁরা মূলত ডিএড কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেতুবন্ধনের কাজ করতেন।
আরো পড়ুন: মাথায় ২৩ বছর থেকে বুলেট আ’ট’কে ছিল, স’ফ’ল অপারেশন হলো কোলকাতায়
এসএসসির পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রের দুর্নীতি নিয়ে তৎপরতার বাড়িয়েছে ইডি। ইডি-র সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যকে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ কম পেয়েছে।
প্রাথমিকে দুর্নীতির হিসাব বুঝতে এই মুহূর্তে ইডি-র নজরে রয়েছে ৫৬০ টি ডি এড শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মূলত প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যই রয়েছে।
ইডি জানতে পেরেছে, এই ডিএড কলেজগুলির বেশিরভাগ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রত্যেকটি ডিএড কলেজ থেকে ৫০টি সিট পিছু টাকা তোলা হত। এভাবে বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা উঠত বলে ইডি প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে।
এছাড়া এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য প্রতিটি থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। এ ব্যাপারে মানিকবাবুর দুই সহযোগীর একজনের বাড়ি নদিয়া, অন্যজন যাদবপুরের বাসিন্দা।