শিশু মাত্রই সে টলমল পায়ে হাঁটবে এটাই তো স্বাভাবিক। আর তাঁর পায়ের এই টলমল ছন্দ সকলকে খুব আনন্দ দেয়। অনেক সময় হাঁটতে হাঁটতে সে মুখ থুবড়ে পড়েও যায়৷ আর তখনই ব্যস্ত হয়ে ওঠেন তার বাবা-মা।
বিশেষজ্ঞদের মতে হামাগুড়ি থেকে শিশু যখন হাঁটতে শেখে তখন যদি সে একটু আধটু পড়েও যায়, তাতে চিন্তার কিছু নেই।কিছু শিশু হাঁটতে দেরী করে। কেউ বা আবার খুব তাড়াতাড়ি হাঁটতে শিখে যায়, দৌড়োতে চায়।
শিশুর হাঁটতে দেরী হলে বাবা মা সেই বিষয়টি নিয়েও দুশ্চিন্তা শুরু করে। তাঁরা ভাবেন যে তাঁদের বাচ্চা হয়তো ভালোভাবে হাঁটতে শিখবে না৷ সেখানেও চিকিৎসকরা বাবা-মাকে অহেতুক দুশ্চিন্তা করতে বারণ করছেন।
অনেক সময় শিশুকে তাঁর বাবা মা ওয়াকার কিনে দেন। কিন্তু এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ওয়াকার কিনে দেওয়া থেকে বাবা-মাকে বিরত থাকতে বলছেন ৷
কারণ তাঁদের মতে, এর ফলে শিশু ওয়াকার নির্ভর হয়ে পড়বে৷ আর সে ওয়াকার ছাড়া কিছুতেই হাঁটতে চাইবে না। তাতে বেশ কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
বাচ্চা যখন টলমল পায়ে হাঁটতে শিখবে তখন ঘরের মেঝেতে কার্পেট বিছিয়ে দিন৷ তাহলে শিশু পড়ে গেলেও ব্যথা পাবে না৷ তবে কার্পেট ভারী হওয়া আবশ্যক, তা না হলে কার্পেটে পা পিছলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷
দিনে দুবার ভালোভাবে শিশুর গায়ে হাত পায়ে তেল মালিশ করুন, তাতে শিশুর শরীরের পেশি মজবুত হয়, হাঁটতে শিখতে কোনো সমস্যা হয় না৷
আরো পড়ুন: ছিলো “মাতাল গ্রাম”, এখন দাবা খেলার নে’শা’য় বুঁ’দ গো’টা গ্রামবাসী, চ’ম’কে দিয়েছেন এই যুবক
এছাড়াও একটা দিক অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, শিশু যখম হাঁটতে শুরু করবে তখন তাকে সম্পূর্ণ ধরে থাকবেন না৷ বরং নিজের কড়ে আঙুল তার দিকে বাড়িয়ে দেবেন৷ প্রয়োজনবশত সন্তান নিজেই আপনার আঙুল ধরে নেবে।
আর সবথেকে বেশি যেটা প্রয়োজন তাহল উৎসাহ। শিশুসন্তানকে সব সময় হাঁটতে উৎসাহিত করুন৷ সেজন্য ঘরের কোণে তার প্রিয় খেলনা রেখে দিয়ে তাকে সেটা আনতে নির্দেশ করুন৷ তাহলেই দেখবেন এভাবেই হামাগুড়ি দিতে দিতে ঠিক এক সময় হাঁটতে শিখে যাবে আপনার সন্তান৷