Home অফবিট বার’বার বা’থ’রু’ম যা’ও’য়া’র অ’ভি’যো’গে এক ক’র্মী’কে ছাঁ’টা’ই অ্যামাজনে’র

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বার’বার বা’থ’রু’ম যা’ও’য়া’র অ’ভি’যো’গে এক ক’র্মী’কে ছাঁ’টা’ই অ্যামাজনে’র

বারবার বাথরুম যাওয়ার অভিযোগে এক কর্মীকে ছাঁটাই অ্যামাজনের

অ্যামাজনে কাজ করার সময় নাকি বারবার বাথরুম যেতেন ওই ব্যক্তি, শুধুমাত্র এই অপরাধের জন্য তাকে কর্মক্ষেত্র থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির বিরুদ্ধে এমন একটি অভিযোগ তুলে ওই কর্মী দাবি করেন, তার পেটের সমস্যার কারণে বারবার তাকে কাজের মধ্যে বাথরুম যেতে হতো। কিন্তু পেটের ব্যথাকে এক রকম অজুহাত বলে আখ্যা দিয়ে তাকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয় কোম্পানি থেকে।

এইরকম একটি অভিযোগ উঠেছে অ্যামাজনের বিরুদ্ধে। নিউজার্সীর আদালতে অ্যামাজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মারিয়া আইরিশ জেনিথ অলিভেরও। অ্যামাজনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন তিনি। যদিও অ্যামাজনের তরফ থেকে এই মামলা ফেডারাল আদালতে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মামলা সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত অ্যামাজনের তরফ থেকে কোনো রকম মন্তব্য শুনতে পাওয়া যায়নি।

গত বছর জুলাই মাসে স্থানীয় অ্যামাজন ওয়ারহাউজে কাজ শুরু করেছিলেন ওই ব্যক্তি। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, গত বছর নভেম্বরে ম্যানেজারকে আমার ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম সম্পর্কে জানিয়ে ছিলাম। সমস্যা থাকার কারনে আমাকে বারবার বাথরুম যেতে হয়। রোগের প্রমাণ হিসাবে আমি ম্যানেজারকে ডাক্তারের সমস্ত নথি জমা দিয়েছিলাম।

অন্যদিকে অ্যামাজন এর পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, রোগ সংক্রান্ত ডাক্তারের কাছে কোন প্রেসক্রিপশন জমা দেয়নি মারিয়া। জানুয়ারি মাসে মারিয়ার ম্যানেজার তাকে ডাক্তার দেখিয়ে একটি প্রেসক্রিপশন অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মারিয়া কোন প্রেসক্রিপশন জমা দিতে পারেনি। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাবার পর তাকে লিখিতভাবে সতর্ক করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরে ডাক্তারের নথি জমা দেওয়ার সময় ম্যানেজারের তরফ থেকে জানানো হয়, নথি জমা দিতে বড্ড দেরি করে ফেলেছে মারিয়া। তাকে কর্মক্ষেত্র থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। অ্যামাজনের এই বৈষম্যমূলক আচরণ এবং অসহযোগিতার কারণে মারিয়া নিউজার্সির বৈষম্য বিরোধী আইন অনুযায়ী কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

যদিও ক্ষতিপূরণ বাবদ তিনি কত টাকা পেয়েছেন তা এখনো জানাননি মারিয়া। যদি অ্যামাজনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মারিয়াকে এখনো পর্যন্ত কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি। মারিয়া ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন তাই এই মামলাটি আদালতে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমাজন।