সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এটাও সম্ভব? প্রেম ভে’ঙে’ছে, পড়াশোনা করতে পারেনি, উত্তরপত্রে পাশ ক’রি’য়ে দেওয়ার আ’বে’দ’ন পড়ুয়ার

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি পোস্ট। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি ‘খোলা আবেদনপত্র’। পরীক্ষার খাতায় শিক্ষকের কাছে আবদার করে বসেছে বাংলাদেশের এক ছাত্র। সেই ছাত্র বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি পরীক্ষাটি হয়েছিল। পরীক্ষার খাতায় লেখা রয়েছে ছাত্রটি অনার্সের চতুর্থ বর্ষের। বিষয় ছিল ‘ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং’।

“প্রিয় স্যার/ম্যাম,
প্রথমেই বলে রাখি এই বিষয়ে আমার কিছুই পড়া হয়নি। আমার প্রিয় মানুষ আমাকে রেখে চলে গেছে। মানে আমাদের ব্রেক আপ হয়ে গেছে। আর এতেই আমার মন ভেঙেছে। সেই কারণে পড়াশোনায় আমার মন নেই।

আরো পড়ুন: সরকারি কর্মীদের DA বাড়ার পাশাপাশি আ’রো অনেককিছু বা’ড়’ছে

কিছুতেই পড়তে ভালো লাগছে না। দয়া করে এইবারের মতো আমাকে পাশ করিয়ে দিন। আমি কথা দিচ্ছি পরের বার GF নিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করে যাব।” এই উত্তরপত্র পোস্ট হওয়ার সাথে সাথেই তা আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে নেট মাধ্যমে। যদিও ভাইরাল হওয়া এই উত্তরপত্রের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে এক নেটনাগরিক লিখেছেন, “পরীক্ষার আগে পড়াশোনা না করে এসব আবেদন নিবেদন করে কোনো লাভ নেই।” এদিকে অপর এক নেটনাগরিক বলেছেন, “বাঃ হাতের লেখাটা কি সুন্দর! এমন লেখাতেই আমি আমার মন দিয়ে ফেলেছি।” আরও একজনের বক্তব্য, “কী সুন্দর হাতের লেখা রে! পুরো ক্রাশ তো!”

কোভিড পরবর্তী সময়ে ছাত্রছাত্রীদের খাতায় এহেন অদ্ভূত আবদার খুব বেশিই দেখা যাচ্ছে। কেউ পাশ করানোর আবদারে খাতায় পয়সা রেখে এসেছে, কেউ বা আবার স্যারেদের কাছে কাকুতি মিনতি। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন কোভিড পরিস্থিতির জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে।

কারণ এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের মানসিক চাপ খুব বেড়েছে। অফলাইনে পরীক্ষা দিতে কোনোভাবেই ইচ্ছুক নয় তারা এবং সেই সাথে নানা ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও খানিকটা সময় লাগবে।