সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জোরালো ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়ায়, জারি সুনামি স’ত’র্ক’তা

ইন্দোনেশিয়া এমনিতেই ভূমিকম্প প্রবণ দেশ ৷ সেখানে প্রায়শই বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্পের খবর পাওয়া যায়৷ মঙ্গলবার জোরালো ভূমিকম্প কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া। কম্পনে অবশ্য ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম ৷ তবে আশঙ্কা রয়েছে সুনামির ৷ যার জেরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে ৷ আসলে ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা অঞ্চলে, যেখানে এমনিতেই জিওটেকটনিক শক্তির প্রাবল্য রয়েছে।পাশাপাশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির সংখ্যাও এ দেশে রয়েছে অনেক বেশি অংশে।

ইন্দোনেশিয়ায় এই ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৩। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা USGS পর্যবেক্ষকরা ভূমিকম্পের পরে বিপজ্জনক সুনামির আশঙ্কা করছেন। ফলে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। জানা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় ১০টা ২০ মিনিটে আচমকাই কেঁপে ওঠে মাটি। ভূমিকম্পের প্রাবল্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মওমেরে শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে মাটির ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে। এই পরিস্থিতিতে প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, ওই উৎসস্থলের ১ হাজার কিলোমিটার উপকূল জুড়ে সুনামির বিপজ্জনক ঢেউয়ের দেখা মিলতে পারে।

ইউএসজিএস অবশ্য জানিয়েছে, এই কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কমই। এই এলাকায় সম্প্রতি যা ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষয়ক্ষতিতে আসল ভূমিকা ছিল ভূমিকম্প-পরবর্তী সুনামি ও ভূমিধসের। আর এবার যেহেতু সুনামির আশঙ্কা রয়েছে তাই আশঙ্কা বাড়ছে।

উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা অঞ্চলে, যেখানে এমনিতেই জিওটেকটনিক শক্তির প্রাবল্য রয়েছে। শুধু তাই নয়। ইন্দোনেশিয়ার বিস্তার দুটি মহাদেশীয় পাত (ইউরেশিয়ান এবং অস্ট্রেলিয়ান প্লেট) এবং দুটি মহাসাগরীয়(ফিলিপিন্স সি ও প্যাসিফিক প্লেট) এর মধ্যবর্তী অংশে। কিন্তু ইউরেশিয়ান পাতের নিচে ভারত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সরণ ও নিমজ্জিত হওয়ার ফলে বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় পরিণত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া।